বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারালো শ্রীলঙ্কা

বাংলাদেশের বিপক্ষে সহজ জয়ই তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কার সঙ্গে কামিল মিশারার ব্যাটে খুব একটা ব্যাগ পেতে হয়নি তাদের। যদিও শেষ দিকে এসে দ্রুত তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ততোক্ষণে জয় হাতের মুঠোয় চলে আসে দলটির। ৩২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় দলটি।
শুরুতে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর মিশারাকে ফেরানোর সুযোগ ছিল তাদের। কিন্তু সহজ ক্যাচ ধরতে পারেননি শেখ মেহেদী। তখন মিশারা ছিলেন ১ রানে। সেই মিশারা শেষ পর্যন্ত করেছেন ৩২ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৪৬ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৯/৫ (তানজিদ ০, ইমন ০, লিটন ২৮, তাওহিদ ৮, মেহেদী ৯, জাকের ৪১*, শামিম ৪২*; থুসারা ১/১৭, চামিরা ১/১৭, শানাকা ০/২৭, পাথিরানা ০/৪২, হাসারাঙ্গা ২/২৫, আসালাঙ্কা ০/৬)।
শ্রীলঙ্কা: ১৪.৪ ওভারে ১৪০/৪ (নিসাঙ্কা ৫০, কুসল মেন্ডিস ৩, মিশারা ৪৬*, পেরেরা ৯, শানাকা ১, আসালাঙ্কা ১০*; শরিফুল ০/২৬, মোস্তাফিজ ১/৩৫, তানজিম ১/২৩, মেহেদী ২/২৯, রিশাদ ০/১৮, শামিম ০/৪)।
ফলাফল: শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী।
শানাকাকে ফেরালেন তানজিম
শেষ দিকে এসে দ্রুত উইকেট পেলো বাংলাদেশ। তবে এর আগেই ম্যাচ লঙ্কানদের হাতে। ফাইন-লেগে দারুণ এক ক্যাচ করে শানাকাকে ফেরালেন মোস্তাফিজ! তানজিমের লেগ সাইডে শর্ট অফ লেংথ বলে খেলতে গিয়ে আকাশে উঠিয়ে দেন শানাকা।
শানাকাকে ফেরালেন তানজিম
শানাকাকে ফেরালেন তানজিম
রিভিউ নিয়ে পেরেরাকে ফেরালেন মেহেদী
একেবারেই স্পষ্ট আউট হওয়ার পরও আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। ফলে রিভিও নেয় বাংলাদেশ। শেখ মেহেদীর ডেলিভারি অনেকটা ইনসুইঙ্গারের মতো ভেতরে ঢুকে আসে। কুশল পেরেরা ফের রিভার্স সুইপ খেলতে যান, কিন্তু ব্যাটে বল লাগেনি, সরাসরি প্যাডে আঘাত করে। রিভিউতে বাংলাদেশের পক্ষেই সিদ্ধান্ত আসে। ৯ বলে ৯ রান করেন পেরেরা।
১৩ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১২৫ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। মিশারা ৪১ ও দাসুন শানাকা ১ রানে ব্যাটিং করছেন।
নিসাঙ্কাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন মেহেদী
অবশেষে দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙতে পেরেছে বাংলাদেশ। পাথুম নিসাঙ্কাকে ফিরিয়েছেন অফ-স্পিনার শেখ মেহেদী। অবশ্য ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার-লেগে দারুণ এক ক্যাচ ধররেন শরিফুল। সঠিক সময়ে লাফিয়ে ডান দিকে দুই হাতে তালুবন্দি করলেন বলটি। পিচ ছেড়ে এগিয়ে এসে প্যাডের ওপর লেংথ বলটি ফ্ল্যাট শটে খেলতে চেয়েছিলেন নিসাঙ্কা। তবে এর আগেই বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন টাইগারদের। ৩৪ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫০ রান করেন তিনি।
১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৯ রান। মিশারা ৩৫ ও কুসল পেরেরা ১ রানে ব্যাটিং করছেন।
শ্রীলঙ্কার একশ, নিসাঙ্কার ফিফটি
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটার পাথুম নিসাঙ্কা ও কামিল মিশারা। এরমধ্যেই দলীয় শতক পূরণ করেছেন তারা। মাত্র ৫৬ বলেই আসে দলের সেঞ্চুরি।
একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৬তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন ওপেনার নিসাঙ্কা। ৩১ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি।
১০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১ উইকেটে ১০৭ রান। নিসাঙ্কা ৫০ ও মিশারা ৩৪ রানে ব্যাটিং করছেন।
মিশারা-নিসাঙ্কার ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা
শুরুতেই সুযোগ দিয়েছিলেন কামিল মিশারা। সে সুযোগ লুফে নিতে পারেননি শেখ মেহেদী। এরপর দানবীয় আকারে আবির্ভূত হন তিনি। তার সঙ্গে হাত খুলে ব্যাট চালাতে থাকেন পাথুম নিসাঙ্কাও। তাতে পাওয়ার প্লেতেই আসে ৫৫ রান। আর তাদের জুটিতেও এসেছে ফিফটি। ২৯ বলে আসে এই রান।
সাত ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬৬ রান। মিশারা ২৫ ও নিসাঙ্কা ২৯ রানে ব্যাট করছেন।
মিশারার ক্যাচ মিস করলেন শেখ মেহেদী
মিড-অন থেকে দৌড়ে এসে অনেকটা সহজ ক্যাচই ছাড়লেন শেখ মেহেদী। শরিফুলের শর্ট লেংথে বলে পুল করেছিলেন কামিল মিশারা। তবে ব্যাটের স্প্লাইস থেকে বল ওপরে উঠে যায়। দৌড়ে এসে দুই হাতেই ধরেছিলেন মেহেদী, কিন্তু বল তালুতে লেগে বাইরে ছিটকে যায়। রিবাউন্ডে আরেকবার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। এ সময়ে ১ রানে ছিলেন মিশারা। সেই ওভারেই পড়ে টানা একটি ছক্কা ও দুটি চার মারেন এই ব্যাটার।
পাঁচ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৪ রান। মিশারা ১৭ ও নিসাঙ্কা ১৫ রানে ব্যাট করছেন।
মেন্ডিসকে ফেরালেন মোস্তাফিজ
সাধারণত ওপেনিংয়ে বল করেন না মোস্তাফিজুর রহমান। এদিন দ্বিতীয় ওভারেই তার হাতে বল তুলে দেন লিটন দাস। অধিনায়কের আস্থার পুরো প্রতিদান দিয়েছেন তিনি। তার মিডল স্টাম্পে গুড লেংথের ডেলিভারি সামান্য বাইরে দিকে সরে গেলে কুশল মেন্ডিস হালকাভাবে ব্যাট চালিয়েছিলেন। আউটসাইড এজ হয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে। ৬ বলে ৩ রান করেন মেন্ডিস।
দুই ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৩ রান। পাথুম নিসাঙ্কা ৯ ও কামিল মিশারা ০ রানে ব্যাট করছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৯/৫ (তানজিদ ০, ইমন ০, লিটন ২৮, তাওহিদ ৮, মেহেদী ৯, জাকের ৪১*, শামিম ৪২*; থুসারা ১/১৭, চামিরা ১/১৭, শানাকা ০/২৭, পাথিরানা ০/৪২, হাসারাঙ্গা ২/২৫, আসালাঙ্কা ০/৬)।
শ্রীলঙ্কাকে ১৪০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ
শুরুটা বাজে হলেও জাকের আলী ও শামিম হোসেনের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়েছিল বাংলাদেশ। দারুণ জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজিও এনে দিয়েছেন এ দুই ব্যাটার। যদিও স্লগ ওভারের ব্যবহার সে অর্থে করতে পারেনি তারা। শেষ চার ওভারে ৩৯ রান তুলতে পেরেছে দলটি। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৩৯ রান করে টাইগাররা।
শামিম দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৪ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। সমান ৩৪ বল খেলে এক রান কম অর্থাৎ ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের। তিনি মেরেছেন দুটি চার।
শ্রীলঙ্কার হয়ে চার ওভার বল করে ২৫ রানের খরচায় ২টি উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
জাকের-শামিমের জুটিতে পঞ্চাশ
বাংলাদেশের বড় দুঃসময়ে হাল ধরেন জাকের আলী ও শামিম হোসেন। এরমধ্যেই জুটিতে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ৪০ বলে আসে এই রান। যদিও মাঝে সৌভাগ্যের কারণে আউট হয়েও হননি জাকের। বল স্টাম্পে লাগলেও বেল পড়েনি।
১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১০৬ রান। শামিম ৩৩ ও জাকের ২৩ রানে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশের একশ
১০ ওভারের মধ্যেই অর্ধেক ব্যাটার চলে যান সাজঘরে। তাতে বড় চাপে পড়ে যায় টাইগাররা। এরপর শামিম হোসেন ও জাকের আলীর ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। এরমধ্যে দলীয় শতকও তুলে নিয়েছে দলটি। ঠিক ১৬ ওভারে আসে দলের একশ। জাকের ২১ ও শামিম ৩১ রানে ব্যাট করছেন।
ফিরলেন লিটন, বড় চাপে বাংলাদেশ
হাসারাঙ্গার আগের ওভারেই রিভিউ নিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন লিটন দাস। তবে পরের ওভারে সেই রিভিউ নিয়ে তাকে ফিরিয়েছে লঙ্কানরা। হাসরাঙ্গার ফুল-লেংথ বল, স্বাভাবিক লেগব্রেক, লিটন চেষ্টা করেছিলেন রিভার্স সুইপের। কিন্তু মিস করলে গ্লাভসে ক্যাচ উঠে যায়, যা সহজেই ধরেন কুসল মেন্ডিস। তবে আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেননি। পড়ে রিভিউ নিলে দেখা যায় গ্লাভস ছুঁয়েছে বল। ২৬ বলে ২৮ রান করেন অধিনায়ক।
১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫৪ রান। জাকের আলী ৬ ও শামিম হোসেন ১ রানে ব্যাটিং করছেন।
স্টাম্পে লাগলেও বোল্ড হননি জাকের
বল স্টাম্পে লেগেছে, লাইটও জ্বলে উঠেছে কিন্তু বেল পড়েনি। অফ স্টাম্পের বাইরের অংশে ঘেঁষে চলে যায় বল। বেল খাঁজ থেকে লাফিয়ে উঠে আবার জায়গায় ফিরে বসে যায়। অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে যান জাকের আলী।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন লিটন
শেখ মেহেদীর বিদায়ের এক বল পর লিটনও পড়েছিলেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। হাসারাঙ্গার আবেদনে আঙুল তুলেছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বাঁচেন টাইগার অধিনায়ক। রিপ্লেতে দেখা যায় প্যাডে লাগার আগে ব্যাটে লাগে বল। এ সময় ২০ রানে ছিলেন লিটন।
আট ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৩ রান। লিটন ২৪ ও জাকের আলী ১ রানে ব্যাটিং করছেন।
গুগলি না বুঝে বিদায় শেখ মেহেদীর
গুগলি দিয়েই শুরু করেছিলেন হাসারাঙ্গা। রিভার্স সুইপে সেবার দুই রান পেলেও এবার গুগলি বুঝতেই পারেননি শেখ মেহেদী হাসান। ফ্রন্ট ফুটে খেলতে চেষ্টা করলেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না বল কোন দিকে ঘুরবে। শেষমেশ লাইনের অনেক বাইরে খেলার চেষ্টা করলেন। এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফিরতে হয় তাকে। ৭ বলে ৯ রান করেছেন মেহেদী।
পাওয়ার প্লেতে ৩০ রান বাংলাদেশের
প্রথম দুই ওভারে আসেনি কোনো রান। ১৪তম বলে প্রথম রান পায় বাংলাদেশ। সঙ্গে পাওয়ার প্লেতেই নেই তিন উইকেট। তাতে বড় চাপে পড়ে যায় টাইগাররা। তবে দাসুন শানাকার করা ষষ্ঠ ওভারে তিনটি বাউন্ডারি তুলে কিছুটা চাপমুক্ত করার চেষ্টা চালান লিটন দাস।
জীবন পেয়ে পরের বলেই রানআউট তাওহিদ
আগের বলেই সহজ জীবন পেয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়। এক্সট্রা কভারে ক্যাচ তুলে দিলেও তা লুফে নিতে পারেননি লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। তবে তাতে কোনো ক্ষতি হয়নি লঙ্কানদের। পরের বলেই রানআউট হয়ে গেছেন তিনি। থুসারার বলে দুই রান নিয়ে তৃতীয় রান নিতে চেয়েছিলেন তাওহিদ। তবে বাউন্ডারি লাইন থেকে কামিল মিশারার সরাসরি থ্রো স্টাম্প ভাঙলে বিপদে পড়েন তিনি। ৯ বলে ৮ রান করেন তাওহিদ।
পাঁচ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬ রান। লিটন দাস ও শেখ মেহেদী হাসান দুইজনই ৪ রানে ব্যাটিং করছেন।
ইমনও ফিরলেন খালি হাতে
তানজিদের পর খালি হাতে বিদায় নিলেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনও। তিনিও আগের তিনটি বলে কোনো রান নিতে পারেননি। দুশমন্থ চামিরার অফ স্টাম্পের বাইরে রাখা শর্ট-লেংথের বলে ইমন একবারও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি। বলের লাইনের বাইরে খেলতে গিয়ে আউটসাইড এজ হয়ে সরাসরি উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। ৪ বলে কোনো রান আসেনি ইমনের ব্যাট থেকে।
এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ওভারও মেইডেন তুলে নিল শ্রীলঙ্কা। ফলে দুই ওভার শেষেও কোনো রান আসেনি বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে।
৬ বল খেলে খালি হাতে বিদায় তানজিদের
নুয়ান থুসারার প্রথম পাঁচ বলে দিলেন ডট। এরপর ষষ্ঠ বলে বোল্ড হয়ে গেলেন তানজিদ হাসান। থুশারা, বাঁহাতি ব্যাটারদের জন্য যার প্রাণঘাতী অস্ত্র হচ্ছে ইন-সুইঙ্গার। সেই ইন-সুইঙ্গারেই সরাসরি অফ স্টাম্পকে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। ৬ বল খেলে কোনো রান নিতে পারেননি তানজিদ। তাই দলেরও কোনো রান আসেনি।
দুই স্লিঙ্গার নিয়ে শ্রীলঙ্কার একাদশ
সবশেষ বাংলাদেশ সফরে দারুণ সফল ছিলেন স্লিঙ্গার পেসার নুয়ান থুসারা। তিনি আছেন একাদশে। তার সঙ্গে আরেক স্লিঙ্গার মাথিশা পাথিরানাও আছেন দলে।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: পাথুম নিসাঙ্কা, কুসল মেন্ডিস , কামিল মিশারা, কুসল পেরেরা, চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), কামিন্দু মেন্ডিস, দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুশমান্থা চামেরা, মাথিশা পাথিরানা, নুয়ান থুশারা।
তাসকিনের পরিবর্তে একাদশে শরিফুল
বিশ্রাম পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে দুটি উইকেট নিয়েছিলেন, তবে ছিলেন ব্যয়বহুল, খরচ করেছিলেন ৩৮ রান। এটাই দলের একমাত্র পরিবর্তন।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস হেরেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন কুমার দাশ। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়
শ্রীলঙ্কায় হারানোর সুখস্মৃতি ফেরানোর প্রত্যয় টাইগারদের
টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপের 'বি' গ্রুপের ম্যাচে মাঠে নামছে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ও চারিথ আসালাঙ্কার নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে খেলা শুরু শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে।
মুখোমুখি লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কা এগিয়ে থাকলেও সবশেষ দ্বিপাক্ষিক তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় পেয়েছে টাইগাররা। গত জুলাইতে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে দেশে ফিরেছিল লিটনের দল।
সংবাদ সম্মেলনেও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন পেসার তানজিম হাসান, 'শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমরা একটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবো। বিশ্বকাপে আমরা জিতেছি, গত সিরিজেও আমরা জিতেছি তাদের সঙ্গে। ওদের সঙ্গে এত খেলেছি যে প্রত্যেকটা খেলোয়াড়কে জানি, আমরা পুরো প্রস্তুত হয়েই নামব।'
২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফির সেই উত্তপ্ত ম্যাচের পর থেকে এই দুই দলের লড়াই মানেই বাড়তি রোমাঞ্চের আভাস। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তেজনার যেমন দেখা মিলেছে, তেমনি পাওয়া গেছে বিতর্কের খোরাক।
ভক্তদের মধ্যে ঝাঁজ বেশি থাকলেও ক্রিকেটাররা দ্বৈরথের বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাতে চান না, যার প্রমাণ মিলেছে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসালাঙ্কার কথায়, 'আসলে দ্বৈরথটা ভক্তদের মাঝেই আছে। খেলোয়াড় হিসেবে আমরা একটা চ্যালেঞ্জিং লড়াই করি, এই যা।'
Comments