শেষ ৩ ওভারের ঝড়ে ভারতকে ১৭২ রানের লক্ষ্য দিল পাকিস্তান

প্রথম ১০ ওভারে চালিয়ে খেলে ১ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান করল পাকিস্তান। পরের ৭ ওভারে আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে মাত্র ৩৮ রান দিয়ে লাগাম টেনে ধরল ভারত। শেষ ৩ ওভারে আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে ৪২ রান আনল সালমান আলী আগার দল। তারা সূর্যকুমার যাদবদের ছুঁড়ে দিল জয়ের জন্য চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।
রোববার সুপার এশিয়া কাপের ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করেছে পাকিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ৫ উইকেটে ১৭১ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। দুবার জীবন পান তিনি। একবার রানের খাতা খোলার আগে, পরেরবার ব্যক্তিগত ৩২ রানে। দুবারই তার ক্যাচ ফেলে দেন অভিষেক শর্মা। ৩৪ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ৪৫ বল মোকাবিলায় ফারহান মারেন পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা। দ্বিতীয় উইকেটে সাইম আইয়ুবের সঙ্গে তিনি গড়েন ৪৯ বলে ৭২ রানের জুটি। তিনে নামা সাইমের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২১ রান। যদিও ব্যক্তিগত ৪ রানে বেঁচে যান তিনি। তার ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন কুলদীপ যাদব।
এর আগে বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হন আরেক ওপেনার ফখর জামান। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। বল মাটিতে পড়ার আগে উইকেটরক্ষক সঞ্জু স্যামসনের গ্লাভসে জমা পড়ে কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই টিভি আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগের দ্বারস্থ হন মাঠের আম্পায়ার গাজী সোহেল। বেনিফিট অব ডাউট ব্যাটারের পক্ষে যাওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে রিপ্লে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দেন শ্রীলঙ্কার আম্পায়ার রুচিরা। ক্রিজে দাঁড়িয়ে বিস্ময় প্রকাশ করলেও বিদায় নিতে হয় ফখরকে। তিনি করেন ৯ বলে তিনটি চারে ১৫ রান।
ফারহান ও সাইমের জুটি ভাঙার পর পাকিস্তানের রান তোলার গতি অনেক কমে যায়। পেস বোলিং অলরাউন্ডার শিবাম দুবে, রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদীপ মিলে নিয়ন্ত্রিত বোলিং উপহার দেন। ফলে দারুণ ভিত পাওয়ার পরও এক পর্যায়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ দেড়শ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।
দুবে, জসপ্রিত বুমরাহ ও হার্দিকের করা শেষ ৩ ওভারে যথাক্রমে ১৭, ১১ ও ১৪ রান আনে পাকিস্তান। ফলে তাদের পুঁজি শক্তিশালী ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ের উপযোগী হয়। শেষদিকে অধিনায়ক সালমান একটি ছক্কায় ১৩ বলে একটি ছক্কায় অপরাজিত ১৭ ও ফাহিম আশরাফ ৮ বলে একটি চার ও দুটি ছক্কায় অপরাজিত ২০ রান করেন।
ভালো ফিল্ডিংয়ের জন্য সুনাম থাকলেও এদিন ভীষণ হতাশ করে ভারত। সব মিলিয়ে চারটি ক্যাচ হাতছাড়া করে দলটি। ব্যক্তিগত ৬ রানে জীবন পান ফাহিমও। তার ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি শুবমান গিল।
বল হাতে ভারতের পক্ষে সবচেয়ে সফল ছিলেন দুবে। ৪ ওভারে ৩৩ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন। ফারহান ও সাইমকে সাজঘরে পাঠান তিনি। একটি করে শিকার ধরেন হার্দিক ও কুলদীপ। উইকেট না পেলেও আঁটসাঁট থাকা বরুণ ৪ ওভারে দেন ২৫ রান। তবে চমক জাগিয়ে বুমরাহ খরুচে ছিলেন। ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি।
Comments