এবার সোহানের সঙ্গে নায়ক শরিফুল, সিরিজ বাংলাদেশের

নাসুম আহমেদের পর রিশাদ হোসেনও যখন দ্রুত সাজঘরে ফেরেন, তখন হারের শঙ্কাটা জেঁকে বসেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। এরপর নুরুল হাসান সোহানের ছক্কায় আসে স্বস্তি। সেই স্বস্তির রেশ টেনে দারুণ ফিনিশিং করেন ১০ নম্বর ব্যাটার শরিফুল ইসলাম, খেললেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটারের মতো।
শুক্রবার শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আফগানিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল টাইগাররা। আফগানদের দেওয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্যে টাইগাররা পৌঁছে যায় পাঁচ বল হাতে রেখে।
আগের দিন দারুণ শুরুর পর হঠাৎ ব্যাটিং ধসে পড়া বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছিলেন সোহান ও রিশাদ। এদিন শুরু থেকেই দোদুল্যমান অবস্থায় থাকা ম্যাচের শেষ দিকে এসে নায়ক বনে যান শরিফুল। ৬ বলে ২টি চারে খেলেন হার না মানা ১১ রান। ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন সোহান।
লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। পাওয়ার প্লেতে ফিরেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন সহ ইনফর্ম ব্যাটার সাইফ হাসানও। ২৪ রানে তিন উইকেট হারানো দলের হাল অধিনায়ক জাকের আলীকে নিয়ে ধরেন শামিম হোসেন। তাদের জুটিতে আসে ৫৬ রান।
দলীয় ৮০ রানে অধিনায়ক বিদায় নেন রশিদ খানের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ে। এরপর সোহানের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেন শামিম। তবে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন তিনি।
নাসুম নেমে নবিকে ছক্কা মেরে চাপ কমান। তবে ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। একটি বাউন্ডারি মেরে পরের বলে আউট হন সাইফউদ্দিনও। পারেননি আগের দিনের অন্যতম নায়ক রিশাদও। পারলেন শরিফুল। নুর আহমেদকে দারুণভাবে সামাল দেওয়ার পর আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে বাউন্ডারি মেরে জয় নিশ্চিত করেন শরিফুল।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন শামিম। ২২ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। জাকের আলী করেন ৩২ রান। সোহান ২১ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস জিতে দারুণ সূচনা পায় আফগানরা। সেদিকুল্লাহ ও ইব্রাহিম খুব বেশি আক্রমণাত্মক না হলেও প্রায় আট ওভারে ওপেনিং জুটিতে ৫৫ রান এনে দেন। তাতে বড় পুঁজির স্বপ্নই দেখছিল দলটি। এরপর অবশ্য বাংলাদেশের বোলাররা ঘুরে দাঁড়ান, বিশেষকরে দুই স্পিনার রিশাদ হোসেন ও নাসুম আহমেদ। তাতে রানের গতিতে লাগাম থাকে।
রিশাদ ও নাসুম দুইজনই পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। সেদিকুল্লাহকে ফিরিয়ে রিশাদ জুটি ভাঙার পর আরেক ওপেনার ইব্রাহিমকে তুলে নেন নাসুম। এরপর ওয়াফিউল্লাহ তারাখিলকে দ্রুত ফেরান রিশাদ। আর দারউইস রাসুলিকে ছাঁটাই করেন নাসুম।
তবে গুরবাজ এক প্রান্তে টিকে গিয়েছিলেন। দারুণ কিছু বাউন্ডারি আদায় করে হুমকি দিচ্ছিলেন টাইগারদের। তাকে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে বোল্ড করেন শরিফুল ইসলাম। তাতে শেষ দিকের সুবিধা আদায় করতে পারেনি আফগানরা। পাঁচ উইকেট হাতে থাকলেও শেষ চার ওভারে ৩০ রান তুলতে পারে দলটি।
আফগানিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন ইব্রাহিম ৩৭ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন। এছাড়া গুরবাজ ৩০ ও সেদিকুল্লাহ ২৩ রান করেন। শেষদিকে মোহাম্মদ নবি ১২ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।
Comments