বিপিএলের আগে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বিসিবি
২৬ ডিসেম্বর থেকে সিলেটে শুরু হতে যাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিপিএলের নতুন আসর। দেশি-বিদেশি তারকাদের নিয়ে হওয়া ঘরোয়া এই বড় টুর্নামেন্ট নির্বিঘ্নে শেষ করতে অনেকগুলো বিষয়ে নজর রাখতে হচ্ছে বিসিবিকে। তার একটি হচ্ছে নিরাপত্তা। বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানিয়েছেন, দেশজুড়ে বিরাজমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির তাই নিবিড় পর্যবেক্ষণ রাখছেন তারা।
বিসিবি এবং বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) আয়োজিত একটি কর্মশালার পর বিসিবি মিডিয়া সেন্টারে বুলবুল বলেন, 'আমাদের প্রাথমিক কাজ হলো মাঠের খেলা সঠিকভাবে পরিচালনা করা। নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নির্দেশনা ও সহযোগিতা অনুসরণ করছি। পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব এবং সবকিছু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।'
বিপিএল আগামী ২৬ ডিসেম্বর সিলেটে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে এবং টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় পর্ব ৫ থেকে ১২ জানুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর ঢাকায় হবে শেষ পর্বের খেলা। তবে গুঞ্জন আছে টুর্নামেন্টের বাকি অংশও চট্টগ্রামে শেষ করা হবে।
দ্বিতীয় পর্বের পরেও টুর্নামেন্টটি চট্টগ্রামে স্থায়ী করার যে গুঞ্জন উঠেছে, বিসিবি সভাপতি তা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, 'ঢাকা না ফিরে চট্টগ্রামের ধাপেই টুর্নামেন্ট চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।'
চলমান পরিস্থিতিতে বুধবার পরিচালনা পর্ষদের সভা আছে। আগামীকালের সভার এজেন্ডায় নতুন অর্গানোগ্রাম বা সাংগঠনিক কাঠামোর অনুমোদনের বিষয়টিও রয়েছে।
বুধবারের সভা প্রসঙ্গে তিনি জানান, 'আমাদের প্রধান কাজ হলো মাঠের খেলা সুন্দরভাবে পরিচালনা করা। নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা ও অবদান অনুসরণ করছি। পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আমরা তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করব এবং সব বিষয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছি।'
এদিকে বর্তমান বোর্ড পরিচালক ও সিসিডিএম চেয়ারম্যান আদনান রহমান দিপন বোর্ডে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি জানান গত ছয় মাস যত দুর্নীতি হয়েছে তা বিগত ১৫ বছরের সমান।
বুলবুল এ বিষয়ে বলেন যে, ওই মন্তব্যগুলো বোর্ড পরিচালকের একান্তই ব্যক্তিগত মতামত, 'দুর্নীতির অভিযোগগুলো ব্যক্তিগত মতামত এবং আমি সেগুলো গ্রহণ করছি না। তবে আমরা গত ১৫ বছরের সামগ্রিক সিস্টেম অডিট করছি। আমরা অতীতের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি, যেমন—এক ওভারে ৯০ রান দেওয়া বা পিচের জন্য কেনা মাটি উধাও হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা। বর্তমানে সব ধরনের অডিট চলছে।'


Comments