অবশেষে লামিচানে গেলেন বিশ্বকাপে, খেলা নিয়ে তবু সংশয়

Sandeep Lamichhane

বিশ্বকাপ শুরুর আগে সন্দীপ লামিচানেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর জন্য নেপাল সরকার পর্যন্ত তদবির করেছে। কিন্তু দুইবার যুক্তরাষ্ট সরকার তার ভিসার আবেদন নাকচ করে দেওয়ায় বিশ্বকাপে যাওয়া হয়নি। এবার সেন্ট ভিনসেন্টে নেপালের বাকি দুই ম্যাচের জন্য স্কোয়াডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এই লেগ স্পিনার। তবে নেপালের তারকা এই ক্রিকেটারের ম্যাচ খেলতে পারা নিয়ে রয়ে গেছে সংশয়।

আইসিসির টেকনিকাল কমিটির অনুমোদন ছাড়াই স্কোয়াডে পরিবর্তনের সুযোগ ছিল ২৪ মে পর্যন্ত। মে মাসের ৩০ তারিখ দ্বিতীয়বারের মতো লামিচানের ভিসার আবেদন নাকচ হওয়ার পর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল জানিয়েছিল, টুর্নামেন্টে মিস করবেন তিনি। কিন্তু নেপালের ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সোমবার ইএসপিএনক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন, লামিচানেকে যাতে শেষে যুক্ত করা যায়, সেই সুযোগ রাখতে চূড়ান্ত স্কোয়াড জমা দেওয়ার সময় তারা ১৪ জনের নাম দিয়েছিলেন।

তবে যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে নেপালের ১৫ জন খেলোয়াড়ই রয়েছেন স্কোয়াডে। সে কারণে লামিচানেকে স্কোয়াডে সংযুক্ত করা যাবে দলের কোনো খেলোয়াড় চোটে পড়লে। বদলি হিসেবে এই লেগিকে যুক্ত করার সুযোগ আছে নেপালের। দেশটির ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদিও জানিয়েছে, আইসিসির গভর্নিং বডি তাকে স্কোয়াডে যোগ করার অনুমতি দিয়েছে। নেপালের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্তি সম্পর্কে আইসিসির তরফ থেকে অবশ্য এখনো কিছু জানানো হয়নি।

দেশটির সবচেয়ে বড় তারকাকে গ্রুপ পর্বের শেষ দুটি ম্যাচে পাবে কিনা রোহিত পাউডেলের দল, তা নিয়ে তাই রয়েছে সংশয়। নেপালের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট একমাত্র বোলার হিসেবে দুইশের বেশি উইকেট নিয়েছেন তিনি। সেন্ট ভিনসেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেপাল খেলবে ১৪ জুন। একই মাঠে ১৬ জুন তাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ।

লামিচানে যদিও ইতোমধ্যে সেন্ট ভিনসেন্টে পা রেখেছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি গতকাল সেখানে উপস্থিত হওয়ার খবর জানিয়ে লিখেছেন, 'নামাস্তে, হ্যালো ফ্রম ওয়েস্ট ইন্ডিজ'। গত মাসে দুই দফায় যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে চরম হতাশাই ব্যক্ত করেছিলেন এই ক্রিকেটার।

২০২২ সালে অক্টোবরে ১৮ বছর বয়সী এক মেয়ের ধর্ষণের অভিযোগ গ্রেপ্তার হন তিনি। তখনই নেপাল ক্রিকেট বোর্ড তাকে নিষিদ্ধ করে দেয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এরপর তাকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয় আদালত।

তবে উচ্চ আদালতে গিয়ে তিনি খালাস পেয়ে যান উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে। সেসময় তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ক্রিকেট বোর্ড। এরপর বিশ্বকাপের মঞ্চেও তাকে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করে দেয় সংস্থাটি। অবশেষে লামিচানে পা রেখেছেন বিশ্ব আসরের আঙিনায়। তবে তার মাঠে নামা নিয়ে এ পর্যন্ত থেকেই যাচ্ছে সংশয়।

Comments

The Daily Star  | English

Shibir-backed candidates Shadik, Farhad leading in top two Ducsu posts

Counting going on till 6:00am; turnout 78% in polls marked by festivities

3h ago