হৃদয়কে তার সামর্থ্যের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন সিমন্স
এশিয়া কাপের আগে থেকেই ছন্দহীন হয়ে পড়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়। এশিয়া কাপে এসে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেও তার ব্যাট ছিলো নিষ্প্রভ। এই ডানহাতি ব্যাটারের একাদশে জায়গা নিয়ে উঠেছিলো বড় প্রশ্ন। তবে সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিজেকে ফিরে পান হৃদয়। দলের জয়ে করেন ঝড়ো ফিফটি। বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স জানালেন, হৃদয়কে ফেরাতে সামর্থ্যের কথা মনে করিয়ে কাউন্সিলিং করেছেন তিনি।
টানা ১৫ ইনিংসে ফিফটি ছিলো না হৃদয়ের ব্যাটে। স্ট্রাইকরেট নেমে গিয়েছিলো একশোর কাছাকাছি। ওই সময় ১০৯ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করছিলেন তিনি। তার মন্থর গতিতে মাঝের ওভারে ভুগছিলো দল।
হৃদয় ভুগলেও তাকে বাদ দেওয়ার পথে হাঁটেনি দল, গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের মতন সুপার ফোরেও নামানো হয়। এবার ৩৭ বলে ৫৮ করে নিজেকে ফিরে পান তিনি। রানে থাকা আর না থাকার মাঝে ফারাক যে অনেকটা এটা পরিষ্কার হৃদয়ের শরীরী ভাষায়।
সিমন্স জানালেন, ছন্দহীন খেলোয়াড়দের বেলায় অনুশীলন মনের জোর বাড়ানোই মূল পথ, 'আমার মনে হয় কোন খেলোয়াড় যদি ছন্দ হারিয়ে ফেলে, তাদেরকে মনে করিয়ে দিতে হবে সে আসলে কীসে সামর্থ্যবান এবং কীভাবে আগের জায়গায় যেতে পারে। বিশেষ করে যখন ছন্দহীন অবস্থায় কেউ অনুশীলনে আসে। আমার মনে হয় সে কঠোর পরিশ্রম করেছে। সে রানে ফিরেছে দেখে ভালো লাগছে।'
সুপার ফোরের কঠিন লড়াইয়ের আগে হৃদয়ের রানে ফেরায় স্বস্তি বাংলাদেশের দলের। ভারত ও পাকিস্তানে বিপক্ষে মিডল অর্ডারে তিনি রান পেলে দল পেতে পারে শক্ত ভিত।


Comments