'সেন্সিবল বয়' সাকিবকে 'প্রটেক্ট' করবে বিসিবি

বিতর্ক সাকিব আল হাসানের জন্য নতুন কিছু নয়। তারকা তকমা লাগার পর থেকে প্রায় নিয়মিতই নানা কাণ্ডে সংবাদের শিরোনাম হন তিনি। প্রায় কখনোই সেসবের তোয়াক্কা করতে দেখা যায়নি তাকে। বিসিবি থেকেও তিনি পাননি বড় কোনো শাস্তি। উল্টো সাকিবকে এসব ক্ষেত্রে খুব বিচক্ষণ হিসেবে উল্লেখ করলেন বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। প্রয়োজনে তাকে আগলে রাখার কথাও জানালেন তিনি।

গত মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই দুবাইয়ে উড়ে গিয়েছিলেন সাকিব। সেটাও হত্যা মামলার পলাতক এক আসামির একটি স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে। অথচ সেখানে যাওয়ার আগেই রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিষয়টি উঠে আসে গণমাধ্যমে। এমনকি তাকে পুলিশ প্রশাসন থেকে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়। কিন্তু তারপরও দুবাইয়ে গিয়েছেন সাকিব। আর এই ঘটনা নিয়ে চলছে নানা চর্চা।

তবে এই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছুই না জানার কথা সিলেটে গণমাধ্যমের কাছে বলেন জালাল, 'যা কিছু ঘটেছে, আমরা যা কিছু দেখেছি, আমরা মিডিয়ার (গণমাধ্যমের) মাধ্যমে দেখেছি। আমাদের ওই সময় হয়নি পুরো বিস্তারিত জানার বা যারা এটার মধ্যে কনসার্ন (সংশ্লিষ্ট) আছেন তাদের জিজ্ঞেস করার। সিরিজ শেষ হোক, অবশ্যই এই ব্যাপারে আমরা জানতে চাইব। কী ঘটনা ঘটেছে, কী না ঘটেছে, কার ইনভলভমেন্ট (সংশ্লিষ্টতা) কী, এগুলো আমাদের ব্যাপার না। আমরা বোর্ড থেকে দেখব আমরা কতটুকু এখানে কনসার্ন (সংশ্লিষ্ট)। সে ব্যাপারটাই বেশি গুরুত্ব দিব।'

কেন জানেন না তারও ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি, 'আমরা জানি না, আমার ক্রিকেট অপারেশন্স জানে না ব্যাপারটা। গ্যাপের (দুই সিরিজের মধ্যবর্তী বিরতির) মাঝখানে (সাকিবের) একটা ছুটি ছিল। দুইটা সিরিজের মাঝখানে একটা ছুটির মতো ছিল, সেটা সে এভেইল করেছে (নিয়েছে), ব্রেকটা এভেইল করেছে। জানা ছিল, (মার্চের) ১৭ তারিখ দলের সঙ্গে জয়েন করবে (যুক্ত হবে)। এটা আমরা জানতাম। কোথায় গেছে, কী করেছে বা কার সঙ্গে কী ছিল, বাণিজ্যিক ইনভলমেন্ট (সম্পৃক্ততা) ছিল কিনা এটা আমরা পরে জানতে পেরেছি।'

কোনো ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সাকিব জড়িত থাকলে কী করবেন জানতে চাইলেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান বলেন, 'আমরা মনে করি, সাকিব ইজ অ্যা ভেরি সেন্সিবল বয় (খুবই বিচক্ষণ ছেলে)। তার সবকিছু সে জ্ঞাত আছে এসব ব্যাপারে। কোথায় কী করতে হবে না করতে হবে খুব ভালো জানে। ব্যাপারটা কী ঘটেছে... সেজন্যই বললাম কেন ঘটেছে, কীভাবে ঘটল, কীভাবে ইনভলভমেন্ট (জড়িত) হলো সেটা আমরা এখন পর্যন্ত জানি না। কারণ, এটা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করিনি।'

জালাল যোগ করেন, 'একটু আগে বললাম (সাকিব দলে যোগ দেওয়ার) একদিন পরই সিরিজ শুরু হয়ে গেছে। একইসঙ্গে বোর্ডের সভাপতি (নাজমুল হাসান পাপন) ও সিইও (নিজামউদ্দিন চৌধুরী) বাইরে আছেন আইসিসি মিটিংয়ে, উনারা আসলে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করব কী করা যায়। ব্যাপারটা হচ্ছে, আমাদের এখানে কমিটি আছে ডিসিপ্লিনারি (শৃঙ্খলা বিষয়ক)। উনারা যদি মনে করে এখানে কোনো কিছু আরও তদন্ত দরকার, উনারা দেখবেন। আমার মনে হয়, একটু অপেক্ষা করা দরকার। এখন এগুলো নিয়ে আলাপ না করাই ভালো।'

তবে বিসিবি সর্বদা সাকিবের সঙ্গে থাকবে বলেই জানান তিনি, '(প্রটেক্ট করার ক্ষেত্রে) অবশ্যই (রক্ষা করব)। কারণ, সাকিব শুধু আমাদের বিসিবির প্রোপার্টি (সম্পদ) না, ন্যাশনাল প্রোপার্টি (জাতীয় সম্পদ)। তার দিকে লুক আফটার (দেখভাল) করা আমাদের দায়িত্ব।'

Comments

The Daily Star  | English
govt employees punishment rule

Govt employees can now be punished for infractions within 14 working days

Law ministry issues ordinance amending the Public Service Act, 2018

3h ago