২ দিন পর ক্লাসে ফিরলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাবি, বিনোদপুর, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ,
ক্যাম্পাসের দোকানপাট স্বাভাবিকভাবে চলছে। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা ২ দিন পর ক্লাসে ফিরেছেন ও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এর আগে, শনিবার রাতে বিনোদপুর বাজারে পরিবহন শ্রমিক, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর রাবি কর্তৃপক্ষ ২ দিনের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০০ জন আহত হয়, ৫০টি দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৫ দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির মধ্যে আছে- ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

এ ঘটনায় অগ্নিসংযোগ ও রেললাইন অবরোধের কারণে অজ্ঞাতনামা ১১০০ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।

আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাধারণ দিনের মতো চায়ের দোকানে জড়ো হতে দেখা গেছে। ক্যাম্পাসের দোকানপাট স্বাভাবিকভাবে চলছে।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পিংকি কর্মকার বলেন, বিনোদপুরের ওই ঘটনার পর আজ থেকে আমার ক্লাস শুরু হয়েছে। ছাত্রীদের হলের পাশে ভ্রাম্যমাণ সবজির বাজার বসানো হয়েছে।

তিনি বলেন, 'সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে গেছে।'

রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতানুন ইসলাম বলেন, প্রশাসনিক কার্যক্রমও পুনরায় শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, শনিবারের ঘটনা তদন্তে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কিছু দাবি পূরণ করেছে এবং অন্যান্য দাবি নিয়ে আজ আলোচনা হবে।

একজন শিক্ষকের বিক্ষোভ

জোহা স্কয়ারে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ফরিদ খান শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করেন। তিনি সেখানে সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টা খালি পায়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী সংহতি জানাতে তার পাশে দাঁড়ান।

তার প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় সন্ত্রাসী ও পুলিশের নৃশংস হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আহত শিক্ষার্থীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা দুঃখিত।

অধ্যাপক ফরিদ খান বলেন, আমিও আজ ক্লাস নিচ্ছি না। আমাদের শিক্ষার্থীরা যখন হাসপাতালে ভুগছে তখন আমি ক্লাসে যেতে পারি না।

Comments

The Daily Star  | English
July uprising and the rise of collective power

July uprising and the rise of collective power

Through this movement, the people of Bangladesh expressed their protest using a language shaped by long-standing discontent.

9h ago