চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি

রাবি উপাচার্যের আশ্বাসে মাস্টাররোল কর্মচারীদের আন্দোলন স্থগিত

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি বিবেচনা করা হবে—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যের আশ্বাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন 'মাস্টাররোল' ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা।

আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

এর আগে বিকেল ৫টার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এতে উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানসহ কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন প্রতিনিধি প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর তাদের স্থায়ীকরণের বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেই আশ্বাসের ভিত্তিতে তারা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছেন। সম্প্রতি তারা জানতে পেরেছেন, আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় সিন্ডিকেট সভায় তাদের স্থায়ীকরণের বিষয়টি এজেন্ডায় রাখা হয়নি।

তাদের দাবি, ২০০৪ সাল থেকে মাস্টাররোল ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত সব কর্মচারীকে স্থায়ী করতে হবে। পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন ভাতা, পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।

মাস্টাররোল ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও খালেদা জিয়া হলের হিসাব সহকারী মামুন তালুকদার বলেন, 'আমাদের অনেকে ১৫-২০ বছর ধরে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করছি। আগের প্রশাসন বারবার স্থায়ীকরণের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর তিন মাসের মধ্যে স্থায়ীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সাত মাস পেরিয়ে গেলেও আমরা এখনো অপেক্ষায় আছি।'

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, 'এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। ২০০১ সালে এই নিয়োগ নিয়ে একটি মামলা হয়েছিল, যা এখনো চলমান। এছাড়া, ২০০৬ সালে নেওয়া লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার কিছু নথিপত্রও হারিয়ে গেছে। এসব কারণে বিষয়টি সিন্ডিকেট সভায় তোলা থেকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল।'

তিনি আরও বলেন, 'তবে আমরা তাদের বিষয়ে ইতিবাচক। আজ উপাচার্য তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আগামী ৯ মার্চের সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি তোলা হবে। এরপর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

A unique approach to looking at the future

This is the first instalment of a three-part series based on a foresight analysis centred on Bangladesh’s transition.

1h ago