প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত ‘অবৈধ’ দাবি করে জাবি কর্তৃপক্ষকে অমর্ত্যর আইনি নোটিশ

অমর্ত্য রায়। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী অমর্ত্য রায় জন। 

আজ রোববার 'সম্প্রীতির ঐক্য' প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কর্তৃপক্ষ ও জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, অমর্ত্য রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় ছাত্রনেতা এবং বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেন। শিক্ষকদের চাপের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ২০২৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

পরে এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে তিনি হাইকোর্টে রিট দায়ের করলে আদালত তাকে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেন।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে এবং চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল বিশেষ বিবেচনায় তাকে মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার অনুমতি দেয়। 

এরপর অমর্ত্য জাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেন। সব যাচাই–বাছাই শেষে ২৯ আগস্ট প্রকাশিত চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকায় তার নামও অন্তর্ভুক্ত হয়।

কিন্তু ৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন জাকসু সংবিধানের ৪ ও ৮ ধারার উল্লেখ করে হঠাৎ তার প্রার্থিতা বাতিল করে। 

আইনি নোটিশে এ সিদ্ধান্তকে অবৈধ, স্বেচ্ছাচারী এবং জাকসু গঠনতন্ত্রের ২৭, ৩১, ৩৮ ও ৩৯ অনুচ্ছেদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

অমর্ত্য রায়ের পক্ষ থেকে নোটিশে বলা হয়েছে, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জাকসু নির্বাচনে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না দিলে হাইকোর্টে রিট করা হবে এবং এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।

যোগাযোগ করা হলে অমর্ত্য রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার প্রার্থিতা পুনর্বহালের দাবিতে আইনজীবীর মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। এখনো প্রশাসন থেকে কোনো উত্তর পাইনি। যদি তারা প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ প্রত্যাহার না করে, তাহলে আমি পরবর্তী আইনি পথে যাব।'

মন্তব্য জানতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও জাকসু নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনারকে ফোন দেওয়া হলেও, তারা রিসিভ করেননি।

যোগাযোগ করা হলে জাবি রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লিগ্যাল নোটিশ পেয়েছি। অমর্ত্য রায় অনিয়মিত শিক্ষার্থী বলে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সুতরাং জাকসু নির্বাচনে তার প্রার্থিতা পুনর্বহালের সুযোগ নেই। তিনি আদালতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনজীবী হিসেবে শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবছে প্রশাসন।'

উল্লেখ্য, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সাত দিন পর গতকাল শনিবার জাকসু নির্বাচনে 'সম্প্রীতির ঐক্য' প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী অমর্ত্য রায় জনের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia contribution to Bangladesh democracy

A leader who strengthened our struggle for democracy

Khaleda Zia leaves behind an enduring legacy of service.

13h ago