কলেজশিক্ষককে শারীরিক লাঞ্ছনার অভিযোগ, চট্টগ্রামে শিক্ষকদের বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম কলেজ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের এক শিক্ষককে কলেজ ক্যাম্পাসে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ মঙ্গলবার বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ একাডেমিক পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি করেছেন।

গত রোববার ৪০তম বিসিএসের গণিত বিভাগের প্রভাষক তপেশ দেবকে লাঞ্ছনার খবর প্রকাশ্যে আসে আজ।

চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী তপেশকে সন্দ্বীপ সরকারি কলেজ থেকে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে বদলি করা হয়।

রোববার তিনি কলেজে গেলে 'সাধারণ শিক্ষার্থী' পরিচয়ে একদল শিক্ষার্থী তার যোগদানে বাধা দেয়।

তপেশ দেব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাকে চট্টগ্রাম কলেজে পোস্টিং দেয়। দুই মাস আগে যোগ দিলেও এখনো কোনো ক্লাস নিতে পারিনি। রোববার অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হওয়ার পর প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী আমাকে ঘিরে ধরে এবং বারবার প্রশ্ন করে কেন আমি এখানে এসেছি।'

'এক পর্যায়ে তারা আমাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে। পরে আমি বিষয়টি অধ্যক্ষকে জানাই, তিনি বলেছেন বিষয়টি দেখবেন,' বলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ বা অন্য কোনো রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন কি না জানতে চাইলে তপেশ বলেন, 'আমি কখনো কোনো রাজনীতিতে যুক্ত ছিলাম না। কেউ চাইলে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। আমি জানি না কেন তারা এমন করল। ঘটনার পর গত দুই দিন আমি কলেজে যাইনি, এমনকি কোনো জিডিও করিনি।'

এদিকে, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও হাজী মহসিন কলেজের বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকরা ঢাকা ও চট্টগ্রামে শিক্ষকদের ওপর লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন এবং ঘটনার ন্যায়বিচার দাবি তুলেছেন।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোজাহিদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিক্ষকের ওপর হামলা বা মারধরের তথ্য সত্য নয়। তবে কিছু শিক্ষার্থী তার নিয়োগের বিরোধিতা করছিল। তাদের আপত্তি সত্ত্বেও আমি তাকে যোগদান করতে বলেছি। সেদিন তিনি আমার অফিসে আসেন, কিন্তু আমি ছিলাম না। পরে শুনেছি, কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে ঘিরে ধরে। তবে ওই শিক্ষককে কেউ আঘাত করেনি। সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্য শিক্ষকদের কাছ থেকেও আমি এ তথ্য পেয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, 'আমি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের নেতাদের বিষয়টি জানিয়েছি। সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'

Comments