প্রচারণার শেষ দিনে ব্যস্ত চাকসু প্রার্থীরা, দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি

প্রচারণার শেষ দিনে প্রার্থীরা ছুটে বেড়াচ্ছেন

শেষ হচ্ছে চাকসু নির্বাচনের প্রচারণা। আজ রোববার আনুষ্ঠানিক প্রচারণার শেষ দিন। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ প্রহরে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। 

পোস্টার, ইশতেহার হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন তারা। শেষ মুহূর্তেও ভোটারদের মন জয় করতে প্রার্থীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

২৫ সেপ্টেম্বর থেকে এ প্রচারণা পর্ব শুরু হয়। টানা দুই সপ্তাহ ধরে ক্যাম্পাসে বিরাজ করে নির্বাচনী উত্তাপ। তবে শেষ দিনে সেই উত্তাপ যেন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। 

সকাল থেকেই প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি এবং জানাচ্ছেন নিজেদের পরিকল্পনা। 

কেউ পোস্টার-ব্যানারে ভরসা রেখেছেন, কেউবা বেছে নিয়েছেন অভিনব প্রচারণা কৌশল। গান, নাটক কিংবা মূকাভিনয়ের মাধ্যমে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরছেন শিক্ষার্থীদের সামনে।

ছাত্রী কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী সুমাইয়া সিকদার বলেন, আজ আমাদের প্রচারণার শেষ দিন। এতদিন আমরা অত্যন্ত ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। প্রত্যেক ভোটারের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, তাদের সমর্থন আমার সঙ্গে রয়েছে। আমি আমার জয়ের বিষয়ে খুবই আশাবাদী।

চাকসুতে ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, প্রচারণার শুরু থেকেই আমরা প্রত্যেজ শিক্ষার্থীর কাছে গিয়েছি, তাদের কথা শুনেছি, এবং তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করেছি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দারুণ সাড়া পেয়েছি। আশা করছি, আমাদের প্যানেল এই নির্বাচনে জয়ী হবে। 

'স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন' প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাদের প্যানেলের অধিকাংশ সদস্য জুলাই আন্দোলনের প্রথম সারির কর্মী ছিলেন। সেই কারণেই শিক্ষার্থীরা আমাদের আন্তরিকভাবে নিয়েছে। প্রচারণার সময় তারা আমাদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করছি, নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে এবং আমরা জিতব। 

ভোটারদের মধ্যেও এখন উৎসাহ ও আগ্রহের জোয়ার। প্রথমবারের মতো চাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন, ক্যাফেটেরিয়া কিংবা ঝুপড়ি সব জায়গায় একটাই আলোচনা, কারা হবে চাকসুর প্রতিনিধি। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে বসে প্রার্থীদের যোগ্যতা ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা করছেন, আবার কেউ মূল্যায়ন করছেন, কারা সত্যিকারের নেতৃত্ব দিতে পারবেন শিক্ষার্থীদের।

প্রায় ৩৫ বছর পর আগামী ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন।  

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

7h ago