সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের দখলে ৫০ শহর, সংঘর্ষে নিহত দুই শতাধিক

সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় আকারের আক্রমণ শুরু করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা, দখল করে নিয়েছে আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশের ৫০টি শহর ও গ্রাম। দুই পক্ষের সংঘর্ষে বেসামরিক নাগরিকসহ অন্তত ২৪০ জন নিহত হয়েছে।

আজ শুক্রবার বার্তাসংস্থা এএফপি ও সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সিরিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো জানিয়েছে, তারা বুধবার থেকে আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশে আক্রমণ চালিয়ে বেশ কিছু শহর ও গ্রাম দখল করেছে।

বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সিরিয়ার পাশাপাশি রুশ বাহিনীর বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।

২০১১ সালে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীদের ওপর বাশার আল-আসাদ সরকারের সহিংস হামলার পর শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

২০২০ সালে, আসাদের প্রধান মিত্র রাষ্ট্র তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ইদলিবে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছিল সিরিয়া সরকার। এরপর সহিংসতা একরকম থেমে গেলেও মাঝেমধ্যে এ অঞ্চলে সংঘর্ষ, বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।

গাজা ও লেবাননের যুদ্ধ সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে নতুন সংঘাতের প্ররোচনা দিচ্ছে বলে গত মাসে সতর্ক করেছিলেন সিরিয়ায় নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত গেইর পেডারসেন।  

গেইর পেডারসেন আজ বিবিসিকে জানান, সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে বড়সড় আক্রমণ চালিয়েছে এইচটিএস। এর জবাবে রাশিয়া কয়েক মাস পর আবার বিমান হামলা শুরু করেছে সিরিয়ায়। আর সিরিয়ার সামরিক বাহিনী তাদের ড্রোন হামলা ও গোলাবর্ষণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়েছে।

বিদ্রোহীদের আক্রমণকে 'জঙ্গি হামলা' বলে অভিযোগ করেছে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী।

এদিকে শুক্রবার ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে 'মিত্র সিরিয়া সরকার'-কে আলেপ্পোতে দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে।

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, সহিংসতার মাঝে আলেপ্পো থেকে প্রায় ১০ হাজার শরণার্থী ইদলিবে আশ্রয় নিয়েছে।
 

Comments

The Daily Star  | English

Nepal PM Oli quits as anti-corruption protests spiral

The Himalayan country has struggled with political instability and economic uncertainty since protests led to the abolition of its monarchy in 2008.

2h ago