চীনের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

শুল্ক ঘোষণার সময় এই নথি উঁচিয়ে ধরেন ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
শুল্ক ঘোষণার সময় এই নথি উঁচিয়ে ধরেন ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে তেল ও খাবারের দাম কমছে এবং আরোপিত শুল্কের জন্য কোনো মূল্যস্ফীতির লক্ষণ নেই। 

আজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন ট্রাম্প। 

এক্স, ট্রুথ সোশ্যালসহ একাধিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এই পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, 'তেলের দাম কমেছে, সুদের হার কমেছে, খাদ্যের দাম কমেছে, কোনো মূল্যস্ফীতি নেই। যেসব দেশ আমাদের শোষণ করত, শুল্কের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত যুক্তরাষ্ট্র এখন সপ্তাহে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আদায় করছে।' 

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের তেলের দাম প্রায় তিন শতাংশ কমেছে। ২০২১ সালের পর তেলের দাম এর চেয়ে নিচে নামেনি। 

তবে এই দাম কমার পেছনে মূল কারণ ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়ে তৈরি হওয়া উদ্বেগ। কাঁচামালের চাহিদা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় বিভিন্ন ধাতব পদার্থ ও কফির মতো অনেক পণ্যের দামই কমেছে। 

এদিকে, ট্রাম্পের রেসিপ্রোকাল শুল্কের ঘোষণার পর বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারে ব্যাপক ধস নেমেছে, যা থেকে রেহাই পায়নি মার্কিন পুঁজিবাজারও। নাইকি, অ্যাপল ও টার্গেটের মতো বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্য সবচেয়ে বেশি দরপতন দেখেছে। 

পোস্টে চীনকে 'সবচেয়ে বড় শোষক' বলে আখ্যা দেন। তিনি লিখেছেন, 'সবচেয়ে বড় শোষক চীনের বাজার ভেঙে পড়ছে। তারা আমার সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে, পাল্টা প্রতিক্রিয়া না দেখানোর অনুরোধ অগ্রাহ্য করে আরও ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে—যা তাদের আগের অবিশ্বাস্য উচ্চ শুল্কগুলোর ওপর বসানো হয়েছে!' 

আরেক পোস্টে ট্রাম্প চীনকে হুমকি দিয়ে বলেছেন এই ৩৪ শতাংশ শুল্ক আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে প্রত্যাহার না করলে পরদিন চীনের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন তিনি। 

এক্সিওসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প শুরুতে চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এরপর রেসিপ্রোকাল শুল্কের আওতায় আরও ৩৪ শতাংশ শুল্ক বসান। সর্বশেষ হুমকি বাস্তবায়িত হলে চীনা পণ্যের উপর মোট শুল্কের পরিমাণ ১০৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে। 

রেসিপ্রোকাল শুল্ক সম্পর্কে ট্রাম্প তার পোস্টে আরও বলেন, 'দশকের পর দশক ধরে তারা (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অংশীদাররা) 'ভদ্র যুক্তরাষ্ট্র'-কে ঠকিয়ে অনেক আয় করেছে। এদেশের সঙ্গে এসব ঘটতে দেওয়ার জন্য দায়ী আমাদের আগের নেতারা।' 

Comments

The Daily Star  | English

Farewell

Nation grieves as Khaleda Zia departs, leaving a legacy of unbreakable spirit

8h ago