সীমান্ত সংঘাত থামাতে আলোচনায় বসতে সম্মত থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া

ছবি: রয়টার্স

প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘাত তৃতীয় সপ্তাহে গড়ানোয় পুনরায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। 

আজ সোমবার সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিহাসাক ফুয়াংকেটকিও বিবিসিকে জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

মালয়েশিয়ায় আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে আজ সোমবার দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা মুখোমুখি বৈঠক করেন। 

চলতি মাসে নতুন করে সংঘর্ষ শুরুর পর এটিই ছিল তাদের প্রথম সরাসরি আলোচনা।

এর আগে জুলাইয়ের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় দুই দেশ একটি যুদ্ধবিরতিতে সই করেছিল।

ফুয়াংকেটকিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া ওই যুদ্ধবিরতিটি ছিল 'তড়িঘড়ি করা'।

তিনি জানান, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে ২৪ ডিসেম্বর একটি বৈঠক হবে। আর যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর আগেই এই বৈঠকটি হওয়া প্রয়োজন।

সংঘর্ষ আবার শুরু হওয়ার পর অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। 

উভয় দেশই ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে গুলিবিনিময় করেছে। পাশাপাশি থাইল্যান্ড কম্বোডিয়াতে বিমান হামলাও চালিয়েছে। 

সহিংসতার জন্য উভয় দেশই একে অপরকে দায়ী করছে।

আসিয়ান বৈঠকে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান পরিস্থিতিকে 'সর্বোচ্চ জরুরি' হিসেবে বিবেচনার আহ্বান জানান। 

১৯৬৭ সালে আসিয়ান প্রতিষ্ঠার পর এটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে, যা জোটটির বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

এদিকে চীনও নতুন যুদ্ধবিরতি কার্যকরে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালাচ্ছে। 

চীনের এশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত দেন শিজুন সম্প্রতি নমপেন সফর করেছেন। বেইজিংয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সংলাপ সহজ করতে বেইজিং গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত রাখবে।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia laid to eternal rest

Buried with state honours beside her husband Ziaur Rahman

12h ago