দেশে হারিয়ে যাচ্ছে যে কয়েকটি ভাষা

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় ক্লাসে পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষক। স্টার ফাইল ফটো

বাংলাদেশে বাস করেন বহু ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষ। অতিপ্রাচীনকাল থেকেই তাঁরা বাংলা নামক ভূখণ্ডে বাস করে আসছেন। প্রথমে এ অঞ্চলে বাস করতেন অনার্য জনগণ। এরপর এ অঞ্চলে এসেছেন বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীর মানুষ। আর্যরা আসার পর একটি মিশ্রিত বা সংকর সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। ব্যবসা-বাণিজ্য, ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষ এ অঞ্চলে আগমন করেছেন এবং বাংলা সংস্কৃতিকে করেছেন বৈচিত্র্যময়। বাংলা, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মাতৃভাষা। এছাড়া রয়েছে আরও ৪০টি মাতৃভাষা। ৫০টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এসব ভাষা বাঙালি সংস্কৃতিকে ঋদ্ধ করেছে।  

বাংলাদেশে বাংলাসহ যে ৪১টি ভাষার সন্ধান পাওয়া গেছে তা হলো- বাংলা, বম, কন্দ, চাক, চাকমা, ঠার, মান্দি, হাজং, খাসি, খাড়িয়া, খিয়াং, খুমি, কোচ, কোল, লসাই, মারমা, ম্রো, অহমিয়া, মণিপুরি মৈতৈ, মণিপুরি বিষ্ণুপ্রিয়া, মুন্ডা, কানপুরি, মাহলে, কুড়ুখ, পাংখোয়া, মালতো, পাত্র/লালেং, রাখাইন, সৌরা, মাদ্রাজি, সাঁওতালি, তেলুগু, তঞ্চঙ্গ্যা, ককবরক, নেপালি/গুর্খা, রেংমিটচা, কোডা, লিঙ্গাম, উড়িয়া ও সাদরি।

বাংলাদেশে ব্যবহৃত এসব ভাষা পূর্বমধ্য এশিয়ার বিভিন্ন ভাষা পরিবারের সদস্য। বর্তমানে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা যেমন বিপন্নতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তেমনিভাবে জনসংসখ্যার বিচারেও কিছু ভাষা বিপন্নতার পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ১৪টি ভাষাকে বিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও অন্যান্য সূত্রে বিপন্ন ভাষার সংখ্যা আরো বেশি বলে ধারণা করা হয়। একটি ভাষা কতটুকু বিপন্নতার অবস্থায় আছে বা ঝুঁকির মধ্যে আছে তা নির্ণয় করতে বিশেষজ্ঞরা ভাষা ব্যবহারকারীদের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। এই পর্যায়কে তারা কয়েকটি ভাগে ভাগ করেন। বিপন্নতার মাত্রা নির্ণয় করার জন্য স্টিফেন ওয়ার্ম পাঁচটি মাত্রায় ভাষার বিপন্নতা পরিমাপের কথা বলেছেন। এগুলো হচ্ছে- সম্ভাব্য বিপন্ন, বিপন্ন, সংকটপূর্ণভাবে বিপন্ন, প্রায় বিলুপ্ত এবং বিলুপ্ত।

সম্ভাব্য বিপন্ন ভাষা হলো নির্দিষ্ট ভাষার জনগোষ্ঠী যদি বসতি অঞ্চলে বা কর্মক্ষেত্রে ভাষাটি ব্যবহারে বাধাগ্রস্ত হন বা ব্যবহার করতে না পারেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে যদি ভাষাটির প্রচলন না থাকে তবে ধরে নিতে হবে ভাষাটি সম্ভাব্য বিপন্ন ভাষা। বিপন্ন ভাষা হলো, নির্দিষ্ট ভাষার জনগোষ্ঠীর মধ্যে তরুণ প্রজন্ম ভাষাটি ব্যবহার করে কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম বা শিশুরা ভাষাটি বলতে চায় না বা শিখতে চায় না কিংবা বাড়িতে বা স্কুলে ভাষাটির ব্যবহার নেই, তা হলে ধরে নিতে হবে ভাষাটি বিপন্ন। 

সংকটপূর্ণভাবে বিপন্ন ভাষা হলো, নির্দিষ্ট ভাষার জনগোষ্ঠীর মধ্যে পঞ্চাশ বা তার ওপরে যাদের বয়স তারাই কেবল ভাষাটি বোঝেন এবং বলতে পারেন এবং  সামাজিকভাবে ভাষাটি মূল্যহীন হয়ে গেলে ভাষাটিকে সংকটপূর্ণভাবে বিপন্ন বলে ধরে নেওয়া হয়। প্রায়বিলুপ্ত যে ভাষায় খুব অল্পসংখ্যক লোক কথা বলে এবং এই ভাষাভাষীর সদস্যরা খুবই বয়স্ক তাহলে ধরে নিতে হবে ভাষাটি প্রায়বিলুপ্ত। এবং বিলুপ্ত ভাষা হলো, যে ভাষার কোনো জীবিত সদস্যরা কেবল মনে করতে পারেন যে তাদের অমুক নামে একটি ভাষা ছিল কিন্তু সেই ভাষার কোনো নমুনা সম্পর্কে তার ধারণা নেই তাহলে ধরে নিতে হবে ভাষাটি বিলুপ্ত।

তবে সারা বিশ্বে ভাষার অবস্থা বিবেচনার জন্য একটি গ্রহণযোগ্য নিরিখ হলো 'ফিশম্যান মানদ-'। সেই মান বিচারে বাংলাদেশের সব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষাই বিপন্ন হয়ে পড়েছে। ফিশম্যান মানে পুরো নাম গ্রেডেড ইন্টারজেনারেশনাল ডিসরাপশেন স্কেল (জিআইডিএস)। একটি ভাষার অবস্থা কী, সেটি বোঝাতে এই মানদ-ের আটটি স্তর রয়েছে। চতুর্থ স্তরে থাকলেও ভাষাটি বিপন্ন হিসেবে গণ্য হয় না। কিন্তু চারের পরের স্তরে, অর্থাৎ পঞ্চম স্তরে চলে গেলে ওই ভাষা বিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত হবে। ওই মানের প্রথম স্তরের বিবেচনার বিষয় হলো, ভাষাটি ঊর্ধ্বতন সরকারি পর্যায়ে ব্যবহৃত হয় কি হয় না। বাংলাদেশের কোনো আদিবাসী ভাষাই সরকারি পর্যায়ে ব্যবহৃত হয় না।

এই বিচারে বাংলাদেশে ককবরক, বিষ্ণুপ্রিয়-মণিপুরী, কুরুখ এই তিনটি বিপন্ন ভাষা, বম নিশ্চিতভাবে বিপন্ন ভাষা এবং সাক ভয়াবহভাবে বিপন্ন ভাষার তালিকায় রয়েছে। আর বিলুপ্ত প্রায় ভাষার মধ্যে আছে রেংমিটচা ও সৌরা ভাষা। এ ছাড়া বাংলাদেশে জনসংখ্যার বিচারে বিপন্ন ভাষাগুলোর মধ্যে আছে খাড়িয়া, (জনসংখ্যা আনুমানিক এক হাজার), কোডা (৬০০ থেকে ৭০০), মু-ারি (৩৮২১২), কোল (আনুমানিক ২৮৪৩), মালতো (আনুমানিক ৮ হাজার), কন্দ (৬০০ থেকে ৭০০), খুমি (৩৩৬৯), পাংখোয়া (২২৭৪), চাক (২৮৩৫), খিয়াং (৩৮৯৯) লালেং/পাত্র (২০৩৩) ও লুসাই (৯৫৯ জন)। 

বর্তমানে রেংমিটচা ভাষার একক কোনো পরিবার নেই। এই ভাষার যে ৪/৫ জন সদস্য বেঁচে আছেন বলে জানা যায়। যে সকল সদস্য বেঁচে আছেন তাঁরা আলাদা আলাদা পরিবারে বাস করেন এবং তাঁরা আর এই ভাষায় কথা বলেন না কারণ কথা বলার জন্য দ্বিতীয় সদস্য পরিবারে নেই। এই ভাষা যাতে হারিয়ে না যায় সেইজন্য লেখক ও গবেষক ইয়াংঙান ম্রো এই ভাষার একটি অভিধান প্রণয়ন করেছেন যার নাম 'মিটচ্যা তখক'বা  রেংমিটচা ভাষার বই। এই বইয়ে প্রায় তিন হাজার শব্দ সংকলিত হয়েছে। 

সৌরা ভাষীরা মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বাস করে। তারা চা বাগানের শ্রমিক। বাংলাদেশে মোট ৭০টির মতো সৌরা পরিবার আছে বলে জানা যায়। তবে তাদের মধ্যে সকলেই সৌরা ভাষায় কথা বলতে পারেন না। আনুমানিক একহাজার সদস্যের মধ্যে মাত্র ৪/৫জন সদস্য এই ভাষায় কথা বলতে পারেন। বর্তমানে সৌরাদের প্রায় সকলে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন। অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষা পরিবারের এই ভাষাটি ভারতের উড়িষ্যা, অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু ও বিহারেও কম বেশি প্রচলিত আছে। অন্ধ্রপ্রদেশে 'সৌরা প্রাথমিক' নামে একটি পাঠ্যপুস্তক রয়েছে। সেখানে সৌরা ভাষার লিখিতরূপ থাকলেও বাংলাদেশে এভাষার কোনো লিখিত রূপ নেই।

বাংলাদেশের সিলেট জেলার সদর উপজেলা ও গোয়াইনঘাট উপজেলার ২৩টি গ্রামে পাত্র সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে। পাত্ররা নিজেদের ভাষাকে লালং ভাষা বলে। এটি পাত্র ভাষা নামেও পরিচিত। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী পাত্রদের জনসংখ্যা ২০৩৩জন। তাদের ভাষার কোনো লিখিত রূপ নেই। গবেষকগণ জানিয়েছেন, পাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে এখন অনেক পরিবার আছে যারা ভাষাটা জানলেও এই ভাষায় আর কথা বলেন না। এই সংখ্যা হবে প্রায় ২ শতাংশ। চল্লিশোর্ধ সদস্যরা লালং ভাষায় কথা বললেও শিশুরা আজ আর এই ভাষা শিখতে চায় না। তাছাড়া বর্তমানে লালং ভাষায় প্রায় ৫০ শতাংশ আঞ্চলিক বাংলা ভাষার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। ফলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা বিপন্নপ্রায় এই ভাষাটি অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তবে অপেক্ষাকৃত সচেতন পাত্র জনগোষ্ঠী পাত্র কল্যাণ পরিষদের সহযোগিতায় সেনাপতিটিলা গ্রামে পাত্র ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। ফিশারম্যান স্কেলে পাত্রদের ভাষা আছে বিপন্নতার ষষ্ঠ স্তরে।

মালতো বাংলাদেশে এখন বিলুপ্ত ভাষা। বাংলাদেশে বসবাসরত নাটোর পাবনা রাজশাহী অঞ্চলে মাল পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর মানুষ কিছু দিন আগেও মালতো ভাষায় কথা বলতো। ১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এই ভাষার জনসংখ্যা ছিল ১৮৫৩জন। বর্তমানে মাল পাহাড়িরা সাদরি ভাষায় কথা বলেন। এই ভাষার কোনো লিখিত রূপ নেই। মালতো ভাষার মতো বাংলাদেশে  রাজওয়ার জনগোষ্ঠীর রাজওয়ার ভাষাও বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

'স্লেভ ইন দিস টাইম, টি কমিউনিটি অব বাংলাদেশ' বইয়ের তথ্য অনুযায়ী বংলাদেশের প্রায় ১২টি উপজেলায়, ৩০টি চা বাগানে প্রায় ৫৩৯টি কন্দ পরিবার বাস করে। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সামার ইনস্টিটিউট অব লিঙ্গুইস্টিকের (সিল) গবেষণা অনুযায়ী জানা যায়, বাংলাদেশের কন্দ ভাষাভাষীদের মধ্যে উড়িয়া ভাষাকে মাতৃভাষা বলেছিলেন ৭৬ শতাংশ মানুষ যাদের মধ্যে আবার ৪২ শতাংশ সদস্য এই ভাষা ব্যবহার করেন। অন্যদিকে কুইভ ভাষাকে মাতৃভাষা বলেছেন ১১ শতাংশ মানুষ।  কিন্তু মাত্র ১ শতাংশের চেয়ে কমসংখ্যক কন্দরা এই ভাষায় কথা বলতে পারে। কন্দদের উড়িয়া ভাষার কোনো বর্ণমালা পাওয়া যায়নি। মূলত বয়োজ্যেষ্ঠ এবং মধ্যবয়স্কদের মধ্যে এই ভাষার ব্যবহার দেখা যায়। কুইভ ভাষারও কোনো বর্ণমালা নেই। ফলে কন্দদের এই ভাষা এখন ফিশারম্যান স্কেলে ছয় মাত্রার স্তর অতিক্রম করেছে। 

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনসংখ্যা বিচারে উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী হচ্ছে ওঁরাও। এরা কুঁডুখ ভাষায় কথা বলে। বাংলাদেশে ৭৫ হাজার ওঁরাও জনজাতি বসবাস করলেও কুঁডুখ ভাষায় কথা বলতে পারে মাত্র ২৫-৩০ হাজার ওঁরাও। অন্যান্য আদিবাসী ভাষাভাষীর অবস্থাও ওঁরাওদের মতো।

ভাষা নিয়ে একটি জরিপের চিত্র। ছবি লেখক

ভাষার এই পরিস্থিতি ভাষা বিজ্ঞানী ও ভাষাপ্রেমীদের কাম্য হতে পারে না। ভাষা বিজ্ঞানীরা মনে করেন সকল ভাষাই সমান গুরুত্বের দাবিদার ও মর্যাদা লাভের অধিকার সংরক্ষণ করে। এ কারণে 'আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সনদ'-এর ৩০ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে, 'যেসব দেশে জাতিগোষ্ঠীগত, ধর্মীয় কিংবা ভাষাগত সংখ্যালঘু কিংবা আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোক রয়েছে, সেসব দেশে ওই ধরনের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত বা আদিবাসী শিশুকে সমাজে তার নিজস্ব সংস্কৃতি ধারণ, নিজস্ব ধর্মের কথা ব্যক্ত ও চর্চা করা, তার সম্প্রদায়ের অপরাপর সদস্যদের সঙ্গে ভাষা ব্যবহার করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।'

ভাষার বিনাশ মানেই হচ্ছে মান সভত্যার বৌদ্ধিক সম্পদের ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি। এজন্য তারা বিপন্ন ভাষা সুরক্ষা ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে প্রথমেই ভাষা-নথিবদ্ধকরণের কথা বলেন। ভাষা পুনরুজ্জীবনের জন্য ভাষা বিজ্ঞানী ডেভিড ক্রিস্টাল বিপন্ন ভাষাটিকে প্রভাবশালী ভাষার বলয়ের মধ্য থেকেই ভাষাটির মর্যাদা বাড়ানোর কথা বলেন। তিনি ভাষাটিকে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসার কথা বলেন। বিপন্ন ভাষাগোষ্ঠীর মানুষকে অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে, যাতে তারা তাদের ভাষাকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। এ ছাড়া তিনি বলেন, আইনগতভাবে যদি বিপন্ন ভাষা অধিকারের দিক থেকে ক্ষমতাশালী হয়ে উঠতে পারে তবে তারা ঝুঁকি মুক্ত হতে পারে। স্থানীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপকভাবে ভাষাগুলোকে ব্যবহারের অনুমোদন দিলে ভাষা হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। এ ছাড়া নির্দিষ্ট ভাষার কথককে তার নিজেদের ভাষা লিখতে শিখতে হবে। ক্রিস্টালের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে ভাষাটি নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে।

মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষার ব্যবস্থা না থাকা, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অভাব ও জীবিকার প্রয়োজনে নিজের আদি নিবাস ত্যাগ করে শহরে বসবাসসহ নানা কারণে এসব ভাষা বিলুপ্ত হবার পথে বলে জানা গেছে।

প্রতিটি সম্প্রদায়ের জন্য মাতৃভাষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ভাষা ব্যতিরেকে সম্প্রদায়ের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাংলাদেশে অনেক ভাষাই বর্তমানে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এসব ভাষাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য পরিকল্পনা করা ও তা বাস্তবায়ন জরুরি। ভাষাকে বিপন্নতার হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজন ওই ভাষা চর্চা, পুনরুজ্জীবন, নথিবদ্ধকরণ ও লিপি তৈরি করা। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে একটি ভাষাকে বিপন্নতার হাত থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। 

অধ্যাপক, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Comments

The Daily Star  | English

Nepal PM Oli quits as anti-corruption protests spiral, his aide says

The Himalayan country has struggled with political instability and economic uncertainty since protests led to the abolition of its monarchy in 2008.

16m ago