সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা: বহিষ্কৃত ৮ জাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের মামলা

শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুদীপ্ত শাহীন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় এ মামলা করেন।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবক্কর সিদ্দিক দ্য ডেইলি স্টারকে মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন-বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. আহসান লাবীব, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রাজু আহাম্মদ, ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. মাহমুদুল হাসান রায়হান, ইতিহাস বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের জুবায়ের আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের হামিদুল্লাহ্ সালমান, একই শিক্ষাবর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মো. আতিকুজ্জামান, সিএসই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সোহাগ মিয়া ও সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ রাজন মিয়া।

মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে ওই আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বুধবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শামীম মোল্লা প্রান্তিক গেটে এলে কয়েকজন তাকে মারধর করতে থাকে।

খবর জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিরাপত্তার স্বার্থে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়।

প্রক্টর অফিসের একটি কক্ষে শামীমকে রেখে প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও আশুলিয়া থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায় এবং পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য দ্রুত পুলিশ টিমকে প্রক্টর অফিসে পাঠানোর অনুরোধ করেন।

ওই সময়ে আরও কয়েকজন প্রক্টরিয়াল টিমকে না জানিয়ে জোর করে শামীম মোল্লাকে প্রক্টর অফিসের পাশে নিরাপত্তা অফিসে নিয়ে যায়। প্রক্টর জানতে পেরে নিরাপত্তা অফিসে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেন এবং নিরাপত্তা অফিসের কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ করে দেন।

এর মধ্যে আবার উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের কয়েকজন নিরাপত্তা অফিসের কলাপসিবল গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে শামীম মোল্লাকে মারধর করে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশের টিম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। তারা জানায়, শামীম মোল্লার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে।

রাত ৮টার দিকে প্রক্টরিয়াল টিম ও নিরাপত্তা শাখা শামীম মোল্লাকে পুলিশের গাড়িতে তুলে দেয়। তাকে আশুলিয়া থানায় নেওয়ার পথে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা শামীম মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

SC Secretariat Ordinance: Judges may hold executive posts

Lower court judges will be able to hold executive positions in the law ministry as well as state entities even after the establishment of a Supreme Court secretariat aimed at keeping the judiciary free from the executive’s influence, says a draft ordinance.

5h ago