কেরাণীগঞ্জে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ: পরিচালকসহ ৭ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার আরও ৩

বিস্ফোরণে ভবনের দুটি কক্ষের দেয়াল ও ছাদের কিছু অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'এ ঘটনায় আল-আমিন শেখসহ মোট ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানা একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।'

গত শুক্রবার সকালে হাসনাবাদ হাউজিং এলাকায় উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা ভবনে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণ হয়। এতে ভবনের দুটি কক্ষের দেয়াল ও ছাদের কিছু অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই শিশু আহত হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ২০২২ সাল থেকে বাগেরহাটের শেখ আল আমিন (৩২) ওই ভবনের দুটি কক্ষে মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। মাদ্রাসায় ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থী ছিল। 

বিস্ফোরণে আল আমিন ও তার স্ত্রী আছিয়ার দুই শিশু সন্তান আহত হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের প্রথমে স্থানীয় আদ-দ্বীন হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের ওই ঘটনার বিস্তারিত জানান।

তিনি বলেন, 'বিস্ফোরণের পর পুলিশ সেখানে গিয়ে রাসায়নিক দ্রব্য, ৪টি ককটেল সদৃশ বস্তু, একটি ল্যাপটপ ও দুটি মনিটর জব্দ করে।'

সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলেও জানান তিনি।

এ ঘটনায় সেসময় আল আমিনের স্ত্রী আছিয়া, আছিয়ার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার ও আসমানী খাতুন ওরফে আসমাকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার বলেন, 'ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪০০ লিটারের মতো হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া গেছে। ধারণা করা যায় তারা রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে কিছু একটা করছিল। কোথা থেকে এসব আনা হয়েছে, কী করা হচ্ছিল—পরিবারের লোকজনের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।'

'আল আমিন এখন পলাতক আছেন, তার বিরুদ্ধে আশপাশের থানায় একাধিক মামলা আছে। ২০২৩ সাল থেকে তিনি জামিনে আছেন। এখানে মুফতি হারুন নামে একজনের কথা এসেছে যিনি আছিয়ার ভাই। তিনি মাদ্রাসার একজন পরিচালক বলে আমরা জেনেছি। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন,' বলেন তিনি।

ওই ভবনের মালিক পারভিন বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '২০২২ সালের এপ্রিলে আমি বাসাটি ভাড়া দেই হারুনের কাছে। তারপর থেকে তারা সেখানে মাদ্রাসা পরিচালনা করছিল। আমাকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিত আল আমিন।'

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia’s body taken to Parliament Complex ahead of janaza

Janaza will be held at Manik Mia Avenue at 2pm

3h ago