ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্তে ‘পুশ ইনের’ খবরে আতঙ্ক, বিজিবির টহল জোরদার

সীমান্তে বিজিবির টহল। ছবি: মাসুক হৃদয়/স্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের নলগড়িয়া ও নোয়াবাদী সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় নাগরিকদের পুশ ইনের গুঞ্জনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, পুশইনের আশঙ্কায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে সীমান্তে টহল জোরদার করেছে।

সূত্র জানায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা বিমানবন্দরের পাশের গেটের কাছে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কিছু মানুষকে জড়ো করেছে বলে খবর পাওয়া যায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সীমান্তে স্বাভাবিকের তুলনায় তিনগুণ বেশি সতর্কতা জারি করা হয় এবং রাতভর টহল জোরদার রাখা হয়।

নোয়াবাদী এলাকার বাসিন্দা আনিস মিয়া ও ফজলুল হক জানান, বিজিবির তৎপরতা বেড়ে গেলে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিভিন্ন মসজিদ থেকে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিষয়টি রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

বিজয়নগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুশ ইন চেষ্টার খবরে জনগণ বিজিবির সঙ্গে থেকে প্রতিহত করেছে। এখনো সতর্ক অবস্থানে আছেন সীমান্ত এলাকার সবাই। সীমান্তের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।'

বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে আমরা সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছি। ভারতীয় নাগরিকদের পুশ ইনের আশঙ্কায় আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি এবং ওই এলাকায় টহল জোরদার করেছি।'

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ঘটেনি। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

SC Secretariat Ordinance: Judges may hold executive posts

Lower court judges will be able to hold executive positions in the law ministry as well as state entities even after the establishment of a Supreme Court secretariat aimed at keeping the judiciary free from the executive’s influence, says a draft ordinance.

4h ago