জনবহুল এলাকায় রাসায়নিক মজুত বন্ধ করতে হবে: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। ছবি: পিআইডি

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, জনবহুল এলাকায় অবিলম্বে রাসায়নিক মজুত বন্ধ করতে হবে। এ ধরনের অনুমোদনহীনভাবে রাসায়নিক মজুত রাখা জননিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। 

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, রূপনগরে অগ্নিকাণ্ডে দ্রুত তদন্ত শুরু করতে হবে। এখানে অবৈধ ও অনুমোদনহীন স্থাপনায় রাসায়নিকের মজুত করা হয়েছিল। সরকারকে তদন্ত করে বের করতে হবে কে তাদের এই অনুমতি দিয়েছিল। এজন্য একটি কঠোর নীতি প্রণয়ন করা জরুরি।

আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে রাসায়নিক মজুতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া আহ্বান জানান তিনি।  

উপদেষ্টা বলেন, পুরান ঢাকায় এর আগে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেসব এলাকায় বহুবার দুর্ঘটনার পর রাসায়নিক গুদাম সরানো হলেও সেগুলোই এখন ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অবিলম্বে এসব অবৈধ রাসায়নিক মজুতস্থান শনাক্ত করে আবাসিক এলাকা থেকে অপসারণ করতে হবে। প্রয়োজনে নীতি সংস্কার করতে হবে। কারণ সবার আগে আমাদের জননিরাপত্তা।

তিনি আরও বলেন, উদ্ধার ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। যেন বিশেষজ্ঞরা একসঙ্গে বসে পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করতে পারেন। আমাদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে রয়েছে। আমাদের সমাজকর্মীরা হাসপাতালে আহতদের সহায়তা করছে এবং নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আমরা সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেবো। 

নিখোঁজ শ্রমিকদের বিষয়ে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, যতক্ষণ না সবাইকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে হবে। তবে এটি এখনো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধান ছাড়া সেখানে কেউ প্রবেশ করা উচিত নয়। নিরাপদ উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের সমন্বিতভাবে সহযোগিতা প্রয়োজন। 

Comments