চবির ঘটনায় ‘আমরা জমিদার’ বলা সেই জামায়াত নেতাকে অব্যাহতি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর হাটহাজারী উপজেলা আমির সিরাজুল ইসলামকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের এই কর্মকর্তা চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।
আজ রোববার জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম উত্তর জেলার প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক ফজলুল করিমের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জোবরা গ্রাম নিয়ে জামায়াতে ইসলামী হাটহাজারী উপজেলার আমির মো. সিরাজুল ইসলামের অনাকাঙ্ক্ষিত একটি বক্তব্য বিভিন্ন অনলাইন, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় নিউজ আকারে প্রকাশিত হয়েছে এবং জামায়াতে ইসলামীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী মনে করে, এ বক্তব্য সিরাজুল ইসলামের নিজস্ব, যাতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বিক্ষুব্ধ হয়েছে এবং সংগঠন এ বক্তব্যকে বিনয় পরিপন্থী মনে করে। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আমরা এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
এ ঘটনাকে পুঁজি করে কেউ যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত আর কোনো ঘটনা ঘটাতে না পারে, এজন্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবার সজাগ দৃষ্টি কামনা করেছে জামায়াত।
এ বিষয়ে জানতে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম উত্তর জেলার প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক ফজলুল করিম বলেন, 'সিরাজুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, এটা তার ব্যক্তিগত ও দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতার পরিচয়। যার কারণে আমরাও বিব্রতকর একটি পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। যে কারণে সবার সম্মতিক্রমে আমরা তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছি।'
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী জোবরা গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা আমরা মেনে নেব না।'
গতকাল সিরাজুল ইসলামকে তার মন্তব্যের জন্য তিনদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Comments