ডাকসু নির্বাচন

কেন্দ্র-হল সংসদ মিলিয়ে ৪১ ভোট দিচ্ছেন না অনেকেই

ভোট দেওয়া শেষে ব্যালটবাক্সে ব্যালট ফেলছেন একজন শিক্ষার্থী। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) কেন্দ্র ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪১ জনকে ভোট দেওয়ার কথা থাকলেও অনেক ভোটারই সবগুলো ভোট দিচ্ছেন না।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টিএসসি ও শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্থাপন করা ডাকসু ভোটকেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ভোটাররা বলছেন, তারা অনেক পদের প্রার্থীকে চেনেন না। কারণ, সব প্রার্থী তাদের কাছে পৌঁছাননি বা ব্যক্তিগতভাবেও তাদের সঙ্গে পরিচয় নেই। তাই সব পদে ভোট দেননি। আবার ভোট দিতে অনেক সময় লেগে যায় বলেও অনেকে ব্যালটে কেবল পরিচিতদের ভোট দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন।

ডাকসু নির্বাচন রূপ নিয়েছে উৎসবে। শিক্ষার্থীরা প্রবল উচ্ছ্বাসের সঙ্গে লাইন ধরে ভোট দিচ্ছেন এবং ভোট দিতে যাওয়ার আগে ও পরে আনন্দে মেতে রয়েছেন। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

উদাহরণস্বরূপ, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী অনিকেত জোয়ার্দার ভোট দিয়েছেন ২৯ জনকে।

শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র থেকে বের হয়ে জগন্নাথ হলের এই আবাসিক শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কেন্দ্র ও হল মিলিয়ে মোট ২৯ জনকে ভোট দিয়েছি। সব পদে যোগ্য প্রার্থী পাইনি। অনেক পদে প্রার্থীদের নিয়ে দ্বিধা থাকায় সেগুলোতে ভোট দেইনি। অনেককে চিনিও না।'

টিএসসি কেন্দ্রে ভোট দিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি মোট ১২টি পদে ভোট দিয়েছি। যেসব পদে প্রার্থীদের চিনি না, সেসব পদে ভোট দেইনি।'

এই দুই কেন্দ্রের আরও অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা কেন্দ্র ও হল মিলিয়ে ৪১ পদের সবগুলোতে ভোট দেননি। তাদের কেউ ২৫, কেউ ৩৫ বা ৩৭ জনকে পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন। তবে অনেক শিক্ষার্থীই ৪১টি পদেই ভোট দিয়েছেন।

সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এক শিক্ষার্থী জানান, তিনি হলে থাকেন না বলে হলের ১৩ পদে কোনো ভোট দেননি।

জানতে চাইলে টিএসসি কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক নাসরীন সুলতানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভোটগ্রহণ খুব উৎসবমুখর হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা রোদের মধ্যেও আগ্রহ নিয়ে দাঁড়িয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি।'

শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণে আসা অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভোট দিতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কমতি নেই। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও তারা ভোট দিচ্ছেন। তবে নারী শিক্ষার্থীদের ব্যাগ রাখা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে।'

'তবে, অনেক প্রার্থী পোলিং এজেন্ট স্বল্পতার কথা জানিয়েছেন। তাদের চাওয়া অনুযায়ী পর্যাপ্ত পোলিং এজেন্ট দেওয়া হয়নি,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia contribution to Bangladesh democracy

A leader who strengthened our struggle for democracy

Khaleda Zia leaves behind an enduring legacy of service.

13h ago