এনসিএলে এখনো অন্তর্ভুক্ত নয় ময়মনসিংহ

BCB logo

দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আসর জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) গত এক দশকেও জায়গা করে নিতে পারেনি ময়মনসিংহ বিভাগ। ঢাকা বিভাগ থেকে পৃথক হয়ে ২০১৫ সালে গঠিত হওয়ার পর থেকেই অন্তর্ভুক্তির জন্য চেষ্টা চালালেও এখনো সবুজ সংকেত মেলেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।

এদিকে আগামী সেপ্টেম্বরে এনসিএল টি-টোয়েন্টি আসরকে সামনে রেখে গতকাল সমন্বয় সভা করেছে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানের সভাপতিত্বে হওয়া সাম্প্রতিক সভায়ও ময়মনসিংহকে অন্তর্ভুক্ত না করায় হতাশার সুর আরও ঘনীভূত হয়েছে।

ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার এক সদস্য জানান, এনসিএলে বাদ দেওয়া নিয়ে বিসিবির কাছ থেকে তারা কোনো ব্যাখ্যা পাননি। অন্তর্ভুক্ত না করা হলে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিসিবির সাবেক পরিচালক ও বর্তমানে ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদওয়ান বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'ময়মনসিংহকে বাদ দেওয়ার কারণ আমরা জানি না। বিভাগ গঠনের পর থেকেই এনসিএলে খেলার চেষ্টা করছি, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে আবেদন করেছি। সর্বশেষ ফারুক আহমেদ সভাপতি থাকাকালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবিকে ময়মনসিংহকে অন্তর্ভুক্ত করার চিঠি দিয়েছিল। তখন সভাপতি বলেছিলেন, হবে। কিন্তু আজ দেখলাম ময়মনসিংহকে বাদ দিয়ে সভা চলছে, এতে আমরা খুব হতাশ।'

সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান আরও জানান, ময়মনসিংহকে অন্তর্ভুক্ত না করলে এনসিএল অনুষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না। 'প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে,' সতর্ক করেন তিনি।

বিষয়টি জানে বিসিবিও। বোর্ড পরিচালক আকরাম খান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এ সিদ্ধান্ত কেবল তার একার এখতিয়ারে নয়; বোর্ড পরিচালক ও সভাপতি আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবেন এবং এজিএমের (বার্ষিক সাধারণ সভা) অনুমোদন লাগবে।

বিসিবির আরেক পরিচালক, নাম প্রকাশ না করার শর্তে, বলেন, 'হ্যাঁ, তারা মামলা করতে পারে। কিন্তু দেখুন, সবকিছু জেলা ভিত্তিক কাঠামোর মধ্যে হয়েছে। ভেন্যু বাড়ানোর বিষয় ছিল, খেলোয়াড়দেরও কিছু সমস্যা ছিল। এসব সময়সাপেক্ষ। শুনেছি, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী নতুন জেলা যুক্ত করতে এজিএমের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়।'

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

1h ago