বড় জয়ের পরও হৃদয়কে যেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো

২০ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। যেকোনো বিচারে বড় জয়। তবু এমন জয়ের পরও তাওহিদ হৃদয়ের দিকে ছুটে গেল প্রশ্নের তোড়। টুর্নামেন্টের দুর্বলতম প্রতিপক্ষর সঙ্গে রান তাড়ায় আরেকটু আগ্রাসী মনোভাব না দেখাতে পারত কিনা এই প্রসঙ্গ উঠল জোরালোভাবে। সংবাদ সম্মেলনে আসা তাওহিদ হৃদয় এক পর্যায়ে বলে বসলেন, 'হারলে তো আপনারাই কথা বলতেন।'
হংকংকে প্রথম ম্যাচে বিধ্বস্ত করে দেয় আফগানিস্তান। তাদের রানরেট নিয়ে যায় অনেক উপরে। একই দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেঁটেছে ঝুঁকিমুক্ত পথে। কোনভাবে পা যাতে না হড়কায় সতর্ক থাকতে হয়েছে এই চিন্তায়। প্রতিপক্ষকে ১৪৩ রানে আটকে দিয়ে ৪৭ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশের ইনিংস ১০ ওভারও পরও ছুটছিল ধীরলয়ে। অধিনায়ক লিটন দাস ও হৃদয় মিলে গড়েন ৯৫ রানের জুটি, দলকে একদম জেতার কাছে নিয়ে যান তারা।
তবে একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচ চলে যেতে পারে এমনকি শেষ ওভারের দিকে। ত্রিশের কাছে গিয়েই মুড বদল করে লিটন দ্রুত তুলে নেন ফিফটি, রানের চাপ হয়ে যায় হাওয়া। তবে আরেক পাশে হৃদয়ের ভোগান্তি কমেনি। অপরাজিত থাকলেও তিনি করেন ৩৬ বলে ৩৫।
সংবাদ সম্মেলনে আসা হৃদয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয় রানরেটের চিন্তাটা তাদের মাথায় ছিলো কিনা, হৃদয় জানান এই চিন্তা থাকলেও ঠিক ঝড় তুলতে পারছিলেন না তারা, 'অবশ্যই এটা ছিল মাথায় (রানরেট)। তার থেকে বড় কথা আগে নিশ্চিত করতে হবে ম্যাচটা। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ওভাবেই কিন্তু প্রয়োগ যদি বলি হয়তোবা আরেকটু আগে শেষ করা যেত। আমি চেষ্টা করেছি কয়েকটা কিন্তু আমার ব্যাটে লাগছিল না। হয়তোবা আরো দুই এক ওভার বা আরেকটু শেষ করতে পারতাম। কিন্তু দিন শেষে ম্যাচের ফল আসাটা গুরুত্বপূর্ণ।'
হৃদয় জানান, মূলত ব্যবহৃত উইকেটে বল কিছুটা থেমে আসছিলো। রান তাড়ায় তাদেরকে পরিস্থিতির সেই দাবিই মেটাতে হয়েছে। তবে আরেকটু আগে ম্যাচ শেষ করতে না পারার যে একটা খেদ আছে সেটা লুকাননি তিনি নিজে, 'দেখেন এর আগে যেটা বললাম আমরা যদি ফলাফল যদি না করতে পারেন তাহলে আপনারাই কথা বলবেন। এখানে কিছু ইস্যু ছিল যে আমরা আরেকটু আগে শেষ করতে পারতাম কিন্তু পরিস্থিতিতে আপনার যে চাহিদা আমরা চেষ্টা করেছি সেটাই করতে।'
Comments