হৃদয়-মিরাজের ফিফটিতে বাংলাদেশের মাঝারি পুঁজি

টস জিতে ব্যাটিং বেছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেছিলেন এই পিচে ২৮০ রান হবে এই পিচে ভালো পুঁজি। সেই লক্ষ্যে ছুটে অধিনায়কের সঙ্গে ফিফটি পেলেন তাওহিদ হৃদয়। তবে বাকিরা জ্বলে না উঠায় সফরকারী দল থামল আড়াইশর বেশ আগে।
টি-টোয়েন্টিতে মাত্রই আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করায় বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে নেমেছিলো বাংলাদেশ। বুধবার আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ইনিংসে রান পান কেবল দুজন। ৫০ ওভার খেলে টাইগাররা করতে পারে ২২১ রান। দলের হয়ে ৮৭ বলে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন মিরাজ। ৮৫ বলে ৫৬ করেন হৃদয়।
আফগানদের সেরা বোলার রশিদ খান, ১০ ওভারে ৩৮ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। ৪০ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান আজমতুল্লাহ ওমরজাই।
ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ চতুর্থ ওভারেই হারায় তানজিদ হাসান তামিমকে। বাঁহাতি ওপেনার অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল খোঁচা মেরে বিদায় নেন ওমরজাইর বলে। নাজমুল হোসেন শান্ত তিনে নেমে হন ব্যর্থ। ওমরজাইর বলে চিপ শট খেলে মিড অফে সহজ ক্যাচে থামেন তিনি। টি-টোয়েন্টির দারুণ ছন্দে ওয়ানডে অভিষেকে টেনে আনা সাইফ হাসান ২৬ রান করে ফিরে যান সহজ ক্যাচে।
চতুর্থ উইকেটে এরপর জমে উঠে মিরাজ-হৃদয় জুটি। দুজনে মিলে ১৪২ বলে যোগ করেন ১০১ রান। তখন মনে হচ্ছিলো আড়াইশ ছাড়িয়ে কাঙ্খিত পুঁজির দিকেই ছুটছে দল।
মিরাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটে কাটা পড়ে থামেন ৫৬ করা হৃদয়। খানিক পর মিরাজ নিজেও বিদায় নেন, রশিদের গুগলি পড়তে না পেরে হন এলবিডব্লিউ।
রশিদের গুগলিতে বোকা বনে ব্যর্থ হয়ে ফেরেন জাকের আলি অনিকও। আরেক ফিনিশার নুরুল হাসান সোহানেরও একই পরিণতি। ১৪ বলে ৭ রান করে তিনিও রশিদের গুগলির শিকার।
শেষ দিকে তানজিম হাসান সাকিব ২৩ বলে ১৭ ও ও তানভির ইসলাম ৮ বলে ১১ করলে ২২১ রান করতে পারে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
Comments