রাবাদা-মুথুসামির ব্যাটে বড় লিড দ. আফ্রিকার

কাগিসো রাবাদা যখন উইকেটে আসেন, তখন মনে হয়েছিল পাকিস্তানের জন্য প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। ১১ নম্বর ব্যাটার রাবাদার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উল্টো বড় লিড পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনটি তাই রীতিমতো নাটকীয়।
একদিকে পাকিস্তানের অভিজ্ঞ স্পিনার আসিফ আফ্রিদির দুর্দান্ত বোলিং, অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই নিম্ন-ক্রমের ব্যাটারের বীরত্ব, দুটি চিত্র মিলিয়ে দিনটি দাঁড়াল সমান রোমাঞ্চে ভরা। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ধুঁকছে পাকিস্তান।
মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার সেনুরান মুথুসামি ও কাগিসো রাবাদা দারুণ লড়াকু ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৭১ রানের লিড পায় দলটি। বুধবার দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থামে ৪০৪ রানে, যেখানে মুথুসামি অপরাজিত ৮৯ এবং রাবাদা করেন ক্যারিয়ারসেরা ৭১ রান।
শেষ দুই জুটিতে তারা যোগ করেন ১৬৯ রান, যার মধ্যে নবম উইকেটে কেশব মহারাজের (৩০) সঙ্গে ৭১ এবং শেষ উইকেটে রাবাদার সঙ্গে ৯৮ রানের অমূল্য জুটি দলকে বিপদমুক্ত করে।
৮৯ রানে অপরাজিত থেকে মুথুসামি গড়েন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। তিনি ৮টি বাউন্ডারিতে সাজান ইনিংসটি, ছাড়িয়ে যান গত বছর চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে করা ৬৮* রানের রেকর্ডটিও।
রাবাদা খেলেন মাত্র ৭১ রানের ইনিংস, কিন্তু তাতে ছিল ৪টি ছক্কা ও ৪টি চার। এটি তারও ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস, এর আগে ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ৪৭।
পাকিস্তানের ৩৮ বছর বয়সী স্পিনার আসিফ আফ্রিদি দিনের নায়ক বটে। ৬ উইকেট নিয়ে (৬/৭৯) দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস গুটিয়ে দেন তিনি। এর সঙ্গে তৈরি করেন ইতিহাস, টেস্ট অভিষেকে পাঁচ উইকেট নেওয়া সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ বোলার এখন তিনি।
তিনি পেছনে ফেলেছেন ইংল্যান্ডের চার্লস ম্যারিয়টকে, যিনি ১৯৩৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেকে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন ৩৭ বছর ৩৩২ দিন বয়সে।
দিনের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা ছিল ১৮৫/৪-এ। সকালেই আসিফ আফ্রিদির স্পিনে শুরু হয় ধস। চতুর্থ বলেই কাইল ভেরেইনকে (১০) উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর ট্রিস্টান স্টাবস ২৫৬ মিনিটের দৃঢ় ব্যাটিংয়ের পর ৭৬ রানে এলবিডব্লিউ হন আসিফের বলে। এরপর সাইমন হারমার (২) ও মার্কো ইয়ানসেনকেও (১২) ফেরান যথাক্রমে আসিফ ও নোমান আলি।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে সাইমন হার্মারের তোপে দলীয় ১৬ রানেই টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। এরপর সাউদ শাকিলকে (১১) নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন বাবর আজম। এ জুটিও ভাঙেন হার্মার। এরপর রিজওয়ানকে অবিচ্ছিন্ন ৩৪ রানের জুটি গড়ে দিন শেষ করেন বাবর। ৪৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি।
Comments