সৃজনশীলতার ঘাটতি পূরণে লিভারপুলের ভরসা ভার্টজ

ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের বিদায়ের পর সৃজনশীলতা নিয়ে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল লিভারপুলে। রক্ষণভাগ থেকে খেলার গতি বদলে দেওয়ার যে দুর্দান্ত ক্ষমতা ছিল ট্রেন্টের, তার অনুপস্থিতি দলের আক্রমণে প্রভাব ফেলতে পারত। তবে সেই শূন্যতা পূরণে নতুন ভরসার নাম ফ্লোরিয়ান ভার্টজ—এমনটাই মনে করছেন নতুন কোচ আর্নে স্লট।

জুন মাসে ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঙ্কের ট্রান্সফার ফিতে জার্মান মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান ভার্টজকে দলে টানে লিভারপুল। বায়ার লেভারকুসেনের হয়ে ১৯৭ ম্যাচে ৫৭ গোল ও ৬৫ অ্যাসিস্ট করা এই তারকা আক্রমণভাগে লিভারপুলকে বাড়তি ধার দিতেই আনা হয়েছে।

সোমবার আনফিল্ডে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচে লিভারপুলের জার্সিতে অভিষেক হয় ভার্টজের। ম্যাচে ৩-২ ব্যবধানে জয়ের দিনে দারুণ পারফরম্যান্স করেন তিনি।

ম্যাচ শেষে কোচ স্লট বলেন, 'আমি মনে করি, প্রতিটি বিভাগেই উন্নতির জায়গা আছে। আমরা কয়েকটি নতুন অস্ত্র যোগ করেছি, যার মধ্যে ফ্লোরিয়ান ভার্টজ অন্যতম। অ্যাটাকিং থার্ডে ওর সৃজনশীলতা অসাধারণ।'

'ট্রেন্টের বিদায়ের সঙ্গে আমরা রক্ষণভাগ থেকেই অনেক সৃজনশীলতা হারিয়েছি। ওর পাস, ক্রস ও দৌড়ে যাওয়া সতীর্থকে খুঁজে বের করার ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। যদিও সম্পূর্ণ ভিন্ন পজিশনে, ফ্লোরিয়ানেও সেই গুণটা আছে।'

'তার সৃজনশীলতা, হুগো (একিতিকে)-এর গতি, দুই ফুল-ব্যাক মিলোস (কেরকেজ) ও জেরেমি (ফ্রিমপং)-এর গতি আমাদের দলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে,' যোগ করেন এই কোচ।

গত মৌসুমে রেকর্ড ২০তম লিগ শিরোপা জিতেছে লিভারপুল। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে শক্তিশালী স্কোয়াড গড়ার দিকেই মনোযোগ তাদের। প্রতিদ্বন্দ্বীরা বসে নেই, তাই নিজেকে এগিয়ে রাখতে ট্রান্সফার মার্কেটেও সক্রিয় লিভারপুল।

'প্রতিপক্ষরাও শক্তি বাড়াচ্ছে। আমরাও বেশ কিছু চুক্তি করেছি। এ কারণেই এবারের প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমটা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে যাচ্ছে,' মন্তব্য স্লটের।

আগামী ১০ আগস্ট এফএ কাপ জয়ী ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে কমিউনিটি শিল্ড দিয়ে মৌসুম শুরু করবে লিভারপুল। এরপর ১৫ আগস্ট আনফিল্ডে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে তাদের লিগ শিরোপা রক্ষার অভিযান।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

2h ago