টের স্টেগেন-বার্সা দ্বন্দ্ব: জার্মান গোলরক্ষকের পাশে খেলোয়াড়দের সংগঠন

ছবি: এএফপি

বার্সেলোনা ও তাদের অধিনায়ক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনের চলমান দ্বন্দ্ব আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। এবার এই জার্মান গোলরক্ষকের পাশে দাঁড়িয়েছে স্প্যানিশ ফুটবলারদের সংগঠন এএফই। বুধবার স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম আরএসি ওয়ান জানিয়েছে, সংগঠনটি টের স্টেগেনকে আইনি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে টের স্টেগেনের মেডিকেল রিপোর্টে স্বাক্ষর না করা, যা লা লিগা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে চায় বার্সা। গত ২৯ জুলাই তার পিঠে অস্ত্রোপচারের পর ক্লাবটি দাবি করছে, তাকে অন্তত চার মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে। এই দীর্ঘমেয়াদী চোটের মেডিকেল রিপোর্টটি জমা দিয়ে টের স্টেগেনের বেতনের ৮০ শতাংশ উন্মুক্ত করতে চায় বার্সা। আর ওই অর্থ দিয়ে নতুন গোলকিপার হোয়ান গার্সিয়াকে নিবন্ধন করাতে পারবে তারা।

তবে টের স্টেগেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, তার সেরে উঠতে তিন মাস লাগবে। এটি বার্সেলোনার দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। লা লিগার নিয়ম অনুযায়ী, দীর্ঘমেয়াদী চোট তখনই বিবেচিত হবে, যখন একজন খেলোয়াড় অন্তত চার মাসের জন্য ছিটকে যাবেন।

বার্সা অবশ্য দাবি করছে, তারা টের স্টেগেনের সম্মতি ছাড়াই মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে পারবে এবং আইনি মারপ্যাঁচে তারা সেটা করতে সক্ষম। এমনকি স্প্যানিশ ক্লাবটি ৩৩ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগও এনেছে। তাদের মতে, ক্লাবের ক্রীড়া ও আর্থিক স্বার্থে ক্ষতি করেছেন টের স্টেগেন। বিশেষ করে গার্সিয়ার নিবন্ধন আটকে দিয়ে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে লা লিগা ও এএফইর যৌথ চুক্তি অনুসারে, টের স্টেগেনের বিরুদ্ধে আরোপ করা হতে পারে আর্থিক জরিমানা বা সর্বোচ্চ ৩০ দিনের বেতনবিহীন নিষেধাজ্ঞা।

তবে লা লিগা জানিয়ে দিয়েছে, মেডিকেল রিপোর্টে খেলোয়াড়ের স্বাক্ষর থাকা বাধ্যতামূলক। এমন অবস্থায় এএফই টের স্টেগেনকে আশ্বস্ত করেছে যে, বার্সেলোনার শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো আইনি ভিত্তি নেই। সংগঠনটি জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের যৌথ চুক্তি ও তথ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় ক্লাবের এমন সিদ্ধান্ত ধোপে টিকবে না।

এএফইর সমর্থনে আত্মবিশ্বাসী টের স্টেগেন বার্সেলোনার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতেও অস্বীকৃতি প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে আরএসি ওয়ান। ক্লাবটির স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকোও তাকে আলোচনায় টানতে পারছেন না। সব মিলিয়ে লা লিগার দীর্ঘ ইতিহাসে এক নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu 2025, a litmus test for the interim government

Ducsu 2025 is much more than a contest for student union posts. It is like a referendum on the future of student politics in Bangladesh

35m ago