আমিরাতকে ৫৭ রানে গুটিয়ে ২৭ বলেই জিতে ভারতের রেকর্ড

ছবি: এএফপি

সহজ প্রতিপক্ষের বিপরীতে বল হাতে জ্বলে উঠলেন কুলদীপ যাদব ও শিবাম দুবে। তাদের তোপে ধসে পড়ে স্রেফ ১০ রানে শেষ ৮ উইকেট খুইয়ে গুটিয়ে গেল সংযুক্ত আরব আমিরাত। মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় এরপর জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে ভারতের লাগল কেবল ২৭ বল।

প্রত্যাশিত ফল নিয়ে বুধবার এশিয়া কাপে নিজেদের অভিযান শুরু করেছে শিরোপাপ্রত্যাশী ভারত। তাদের সামনে একটুও দাঁড়াতে পারেনি আরব আমিরাত। দুবাইতে 'এ' গ্রুপের ম্যাচে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে তারা। সব মিলিয়ে খেলা হয় মাত্র ১৭.৪ ওভার। ১৩.১ ওভারে স্বাগতিকদের ৫৭ রানের রানের জবাবে সূর্যকমার যাদবের নেতৃত্বাধীন দলটি পেরিয়ে যায় মাত্র ৪.৩ ওভারে।

ম্যাচসেরা কুলদীপ ২.১ ওভারে ৪ উইকেট শিকার করেন ৭ রান খরচায়। দুবে ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ উইকেট পান ৪ রানের বিনিময়ে।

বেশ কয়েকটি রেকর্ড হলো একেবারে একপেশে এই লড়াইয়ে। টি-টোয়েন্টিতে আরব আমিরাতের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ এটি। আগের রেকর্ডটি হয়েছিল গত বছর। এই ভেন্যুতেই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬২ রানে অলআউট হয়েছিল তারা।

এই সংস্করণের ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে কোনো দলের সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডও এটি। আগেরটি হয়েছিল ২০২৩ সালে আহমেদাবাদে। নিউজিল্যান্ড তাদের বিপক্ষে গুটিয়ে গিয়েছিল ৬৬ রানে।

বল বাকি থাকার হিসাবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়ল ভারত। আগের কীর্তি ছিল যৌথভাবে ভারত ও আফগানিস্তানের দখলে। ২০১৬ সালের আসরে মিরপুরে আরব আমিরাতকেই ৫৯ বল হাতে রেখে হারিয়েছিল ভারত। এরপর ২০২২ সালে দুবাইতে সমান সংখ্যক বল বাকি থাকতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতেছিল আফগানিস্তান।

বল বাকি থাকার হিসাবে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসেও ভারতের সবচেয়ে বড় জয় এটি। আগের রেকর্ডটি ছিল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০২১ সালে এই মাঠে ৮১ বল হাতে রেখে জিতেছিল দলটি।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আমিরাতের দুই ওপেনার আলিশান শরাফু ১৭ বলে ২২ ও অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম ২২ বলে ১৯ রান করেন। আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি।

এক পর্যায়ে, নবম ওভারে দলটির সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৪৭ রান। এরপর কুলদীপ ও দুবে মিলে তছনছ করে দেন স্বাগতিকদের। মড়ক লাগায় এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয় তারা।

রান তাড়ায় প্রথম দুই বলে ছক্কা ও চার মারেন ওপেনার অভিষেক শর্মা। পরের ওভারে আরেক ওপেনার শুবমান গিলও হাঁকান চার ও ছক্কা। অর্থাৎ শুরু থেকেই দ্রুত ম্যাচ শেষ করায় মনোযোগ ছিল ভারতের।

অভিষেক আউট হন ১৬ বলে ৩০ রান করে। তার ব্যাট থেকে আসে দুটি চার ও তিনটি ছক্কা। চার মেরে খেলা শেষ করা গিল করেন ৯ বলে অপরাজিত ২০ রান। সূর্যকুমার ২ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ৭ রানে।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia’s body being taken to Manik Mia Avenue for janaza

Janaza will be held at Manik Mia Avenue at 2pm

2h ago

Farewell

10h ago