এশিয়া কাপ

দ্রুত ৩ উইকেট পড়ার পর তিলক-স্যামসনের প্রতিরোধ

ছবি: এএফপি

এশিয়া কাপজুড়ে বোলারদের আতঙ্ক হয়ে ওঠা অভিষেক শর্মা ফাইনালে হলেন ব্যর্থ। এরপর আরেক ওপেনার শুবমান গিলকেও সাজঘরে ফেরালেন ফাহিম আশরাফ। মাঝে শাহিন শাহ আফ্রিদির শিকার হয়ে টিকতে পারলেন না অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। রান তাড়ায় পাওয়ার প্লের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপাকে পড়ল ভারত। এরপর প্রতিরোধ গড়ে চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় আছে তারা।

প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। দুবাইতে রোববার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ১৯.১ ওভারে অলআউট হয় ১৪৬ রানে। জবাবে ১০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫৮ রান। ক্রিজে আছেন তিলক বর্মা ২৬ বলে ২৪ ও সঞ্জু স্যামসন ১৩ বলে ১৬ রানে।

ক্যাচ মিস না হলে ভারতের চাপ আরও বাড়তে পারত। নবম ওভারে আক্রমণে যান লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ। গিয়েই পেতে পারতেন সাফল্য। তার ডেলিভারি সীমানার বাইরে পাঠাতে গিয়ে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ ঘটাতে পারেননি স্যামসন। সহজ ক্যাচ যায় ডিপ মিড উইকেটে। কিন্তু ছুটে এসে দুই হাত ছোঁয়ালেও বল হাতে জমাতে পারেননি হুসাইন তালাত। ব্যক্তিগত ১২ রানে বেঁচে যান তিনি।

তিনটি উইকেটই পড়েছে স্লোয়ার ডেলিভারিতে। দ্বিতীয় ওভারে ফাহিমকে ছক্কা মারতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দেন অভিষেক। মিড অনে তিনি ধরা পড়েন হারিস রউফের হাতে। ৬ বলে তার রান ৫। পরের ওভারে শাহিনের অফ স্টাম্পের বাইরে ডেলিভারিতে সূর্যকুমার ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি। তালগোল পাকিয়ে ফেললেও শেষমেশ বলে হাতে জমান পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগা। ৫ বলে সূর্যকুমার করেন ১ রান।

ব্যাট হাতে ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দেন গিলও। ফাহিমের করা চতুর্থ ওভারে অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল মারতে গিয়ে তিনি তোলেন ক্যাচ। মিড অনে বল ফের মুঠোয় জমান হারিস। গিল আউট হন ১০ বলে ১২ রানে। স্কোরবোর্ডে মাত্র ২০ রান জমা করতে ৩ উইকেট পড়ে যায় ভারতের।

পাওয়ার প্লেতে দুই পেসার শাহিন ও ফাহিমকেই কেবল ব্যবহার করেন সালমান। ভারত তুলতে পারে মাত্র ৩৬ রান। এরপর স্পিনারদের কাজে লাগানোর চেষ্টায় আছে পাকিস্তান। অন্যদিকে, তিলক ও স্যামসন রয়েছেন জুটি গড়ার প্রয়াসে। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ৩৮।

এর আগে এক পর্যায়ে ১২.৪ ওভারে পাকিস্তানের রান ছিল ১ উইকেটে ১১৩। এরপর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে দলটির ব্যাটিং লাইনআপ। টপ অর্ডার বাদে তাদের বাকি আটজনই বিদায় নেন এক অঙ্কের ঘরে। ভারতের স্পিনারদের দাপটের কোনো প্রত্যুত্তর জানা ছিল না তাদের। ৩৯ বলের মধ্যে ৩৩ রান যোগ করতেই তারা হারায় বাকি ৯ উইকেট।

৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার কুলদীপ যাদব। অথচ খরুচে বোলিংয়ে প্রথম ২ ওভারে ২৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। এই বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার ইনিংসের ১৭তম ও নিজের শেষ ওভারেই শিকার করেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পান বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল, রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও ডানহাতি পেসার জসপ্রিত বুমরাহ।

পাকিস্তানের পক্ষে ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন ৩৮ বল খেলে। তিনি মারেন পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা। আরেক ওপেনার ফখর জামান ১৫তম ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থেকে খেলেন ৩৫ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। তিনে নামা সাইম আইয়ুব করেন ১১ বলে ১৪ রান। বাকিদের স্কোর ছিল যথাক্রমে ০, ৮, ১, ৬, ০, ০, ৬ ও অপরাজিত ১।

Comments