শিশিরের দায় দিয়ে জ্যোতি বললেন, ‘আক্ষেপ আছে হতাশা নেই’

টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ, টস জিতলে বাংলাদেশকেই আগে ব্যাট করতে পাঠাত দক্ষিণ আফ্রিকাও। তাদের চিন্তাটা পরিষ্কার, বছরের এই সময়ে বিশাখাপত্তনমে রাতের বেলা প্রভাব ফেলে শিশির। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে হেরে আসার পর স্বীকার করলেন, বল ভিজে যাওয়ায় গ্রিপ করতে সমস্যা হয়েছে, ফসকেছে ক্যাচও। তবে টসের সিদ্ধান্তকে ভুল বলতে চান না তিনি। হারের ব্যাখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানান, সুযোগ হাতছাড়ার আক্ষেপ থাকলেও হতাশা নেই তার।
নারী বিশ্বকাপের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে লড়াই জমিয়ে শেষ ওভারে ৩ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে শারমিন আক্তার সুপ্তা ও স্বর্ণা আক্তারের ফিফটিতে ২৩২ রানের পুঁজি পান তারা, যা ৩ বল আগে পেরিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। এদিন ৩৪ বলে দেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন স্বর্ণা।
মাঝারি পুঁজি নিয়েও ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা এসেছিলো, মিলেছিলো সুযোগ। কিন্তু বাংলাদেশের ফিল্ডারদের হাত ফসকে বেরিয়ে যায় তিনটি ক্যাচ, একদম ৪৯তম ওভারেও ক্যাচ মিসের মাশুল গুনতে হয়। আবার বোলারদের ক্রাঞ্চ মোমেন্টে লোপ্পা ফুলটস বলও করতে দেখা গেছে।
জ্যোতি জানান বল ভিজে যাওয়ায় ধরতে সমস্যা হচ্ছিলো তাদের, 'অনেক শিশির ছিলো। বল ভিজে গিয়েছিলো, গ্রিপ করতে অনেক সমস্যা হচ্ছিলো। আমি চেষ্টা করেছি আমার সেরা বোলারদের, যারা ডেথে বল করে তাদের শেষ দিকে ব্যবহার করতে। এসব ক্ষেত্রে মোমেন্টাম রাখা কঠিন হয়ে যায়।'
'আমাদের দলে অনেক কম বয়েসী খেলোয়াড় আছে। ক্যাচ ফসকে যাওয়া খেলার অংশ, আমরা খেলার ভেতর ছিলাম। যা হয়েছে ভালো হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।'
শিশির যে পড়বে এটা জানা কথা, আগের ম্যাচগুলোতেও তা-ই দেখা গেছে। তবু কেন আগে ব্যাটিং নিল বাংলাদেশ? এক্ষেত্রে জ্যোতি জানান নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে রান তাড়া করতে গিয়ে চাপ নিতে পারেননি তাদের ব্যাটাররা, গুটিয়ে যান অল্প রানে। রান তাড়ার চাপটা তিনি তাদের দিতে চাননি, 'না (ভুল ছিলো কিনা)), আমি আসলে চাপ ছাড়া ব্যাটারদের একটা জায়গা দিতে চেয়েছি। গত ম্যাচে দেখেছেন চেজে যখন গিয়েছি আমরা এতটা ভালো করিনি। আমরা চেয়েছি নির্ভার ব্যাট করতে।'
স্বর্ণার ঝড়ো ফিফটির পরও বাংলাদেশ থামে আড়াইশর বেশ আগে। অন্তত ১৫-২০ রানের ঘাটতি দেখছেন জ্যোতি, 'আমার মনে হয়েছে ১৫-২০ রান আমরা কম করেছি। উপরের দিকে যারা ব্যাট করেছেন তারা আরেকটু স্ট্রাইক রোটেট করতে পারলে ভালো হতো, ২৫০ ভিন্নভাবে দেখাত।'
টুর্নামেন্টে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারলে অনেক বড় বার্তা দেওয়া যেত। এই সুযোগ হাতছাড়ার আক্ষেপ থাকলেও হতাশ হতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক, 'আক্ষেপ তো থাকবেই, যদি ম্যাচটা জিততে পারতাম আমাদের জন্য ভালো হতো। অনেক জায়গা আছে উন্নতি করার মতন। এখনো তিনটা ম্যাচ বাকি, উন্নতি করতে পারলে সুযোগ আসবে।'
'ফিল্ডিংয়ে আমরা যদি আরেকটু এফোর্ট দিতাম, ক্যাচগুলো নিতাম তাহলে ফল আমাদের পক্ষে আসত পারত। আমাদের হতাশ হওয়া উচিত না। শো মাস্ট গো অন।'
Comments