চবিতে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, কর্মচারী বরখাস্ত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে রেজিস্ট্রার অফিসের নিম্নমান সহকারী এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

অভিযোগ উঠেছে, রেজিস্ট্রার অফিসের জেনারেল শাখায় অফিস সহকারী এমরান হোসেন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ১৫ জনের কাছ থেকে এই টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

সূত্র জানিয়েছে, প্রতারণার শিকার কয়েকজন গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করেছেন। এরপর মঙ্গলবার এমরানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এই ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের তদন্ত গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

কমিটির দুই সদস্য হলেন—অধ্যাপক ড. সাজ্জাদুল হক ও শিক্ষক নিয়োগ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার হাছান মিয়া।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকাকালে এমরান হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী জীবিকা ভাতাদি পাবেন।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা একজন অভিযুক্তকে ধরতে পেরেছি। তিনি ২০২১ সাল থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন। তবে এই প্রশাসনের আমলে ওই ব্যক্তির এই ধরনের অপরাধমূলক কাজের তথ্য আমরা পাইনি।'

'ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন তাদের কাছ থেকে ৫৪ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত বলছেন, তিনি ১৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। তাকে আমরা সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছি এবং দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব,' বলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, 'এমরানের বিরুদ্ধে এর আগেও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু আগের প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কিন্তু আমরা এই প্রতারককে ধরেছি। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ সম্পৃক্ত আছে কি না আমরা খতিয়ে দেখছি।'

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত এমরান হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

প্রসঙ্গত, এর আগে কর্মচারী নিয়োগে অর্থ লেনদেন নিয়ে একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। ফোনালাপটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিম্নমান সহকারী মানিক চন্দ্র দাশের।

তিনি তিনজনের কাছ থেকে আট লাখ ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে আর্থিক লেনদেন নিয়ে পাঁচটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। সেসব ফোনালাপ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শিরীণ আখতারের ব্যক্তিগত সহকারী খালেদ মিছবাহুল, কর্মচারী আহমদ হোসেন ও দুই নিয়োগপ্রার্থীর।

Comments

The Daily Star  | English
gold price rises in Bangladesh

Gold shines through 2025 amid price volatility

If there were a “metal of the year” award, gold would be a strong contender, maintaining an exceptional run even on the final trading day of 2025..Businesspeople said the retail gold market in Bangladesh has remained unstable over the past few months, driven by fluctuating global prices, s

8m ago