ডাকসু নির্বাচন

জয়ী হলে পরাজিতদের নিয়ে বিরোধী সংসদ প্রতিষ্ঠা করব: মাহিন সরকার

মাহিন সরকার। ছবি: স্টার

জয়ী হলে পরাজিতদের নিয়ে বিরোধী সংসদ প্রতিষ্ঠা করবেন বলেন জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র 'ডিইউ ফার্স্ট' প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাহিন সরকার।

দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই সমন্বয়ক বলেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ছিলাম। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীরা আমার অবদান দেখেছেন। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতিকে একটা মিনিমাইজ পর্যায়ে এনে এর নতুন কাঠামো নির্ধারণ করতে চাই। প্রথমবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো দেখে আসছি। আমিও যেহেতু হলেই থাকি, সবকিছুই আমার জানা। যারা অনাবাসিক শিক্ষার্থী, তাদের সংকটগুলোও জানি। এসব নিয়ে কাজ করতে চাই বলেই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। সবসময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়েই আমি কাজ করেছি।

নির্বাচিত হলে কী করবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি আদর্শ জাতি ও রাষ্ট্র গঠনের জন্য যা যা করা দরকার, তার সূচনা আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করতে চাই। এমন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই, যার ফলে ঢাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদর্শ জাতি-রাষ্ট্র গঠনের জন্য নিজেদের তৈরি করত পারে। লিঙ্গ-ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে গিয়ে সবাই সমান সুযোগ-সুবিধা পাবে। যেকোনো প্রয়োজনেই আমি শিক্ষার্থীদের কণ্ঠ হয়ে কাজ করব।

'আমি মনে করি, বিগত সময় ডাকসু হলেও তা কার্যকর হয়নি, শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে প্রার্থীরা যেসব ইশতেহার দিয়েছিলেন, এখনো প্রার্থীরা একই ধরনের ইশতেহার দিচ্ছেন। এ থেকেই বোঝা যায় যে, বিগত সময়ে কোনো কাজ হয়নি। কেন হয়নি? কারণ কোনো বিরোধী সংসদ ছিল না। আমি নির্বাচিত হলে পরাজিতদের নিয়ে একটি বিরোধী সংসদ প্রতিষ্ঠা করব। সেখানে সর্বদলীয় একটা ব্যাপার থাকবে এবং এর মাধ্যমেই ছাত্ররাজনীতির গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ বা ছাত্ররাজনীতির সংস্কার বাস্তবায়ন করব।'

নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে মাহিন বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ মোটামুটি, পুরোপুরি সন্তোষজনক নয়। অনেকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। কিন্তু প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এর ফলে বড় বড় ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমি মনে করি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। সেদিক থেকে আমাদের শঙ্কার জায়গা আছে। তবে, শিক্ষার্থীদের ওপর আমার বিশ্বাস আছে যে, সবকিছুর মধ্যেও তারা যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দেবেন।

সবশেষ তিনি বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমি খুব আশাবাদী। কারণ বরাবর আমি শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেছি। শিক্ষার্থীরা আমাদের চেনেন। একইসঙ্গে আমি কোনো চটকদার ইশতেহার দেইনি, বাস্তবসম্মত ইশতেহার দিয়েছি। আমার বিশ্বাস শিক্ষার্থীরা বাস্তবসম্মত ইশতেহার গ্রহণ করে যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন।

মাহিন সরকার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব ছিলেন। দলের 'অনুমতি না নিয়ে' ডাকসুতে প্যানেল দেওয়ার ঘটনায় এনসিপি তাকে বহিষ্কার করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia laid to eternal rest

Buried with state honours beside her husband Ziaur Rahman

11h ago