পদত্যাগ করলেন জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য মাফরুহী সাত্তার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার পদত্যাগ করেছেন।
আজ শুক্রবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
মাফরুহী সাত্তার বলেন, নির্বাচন চলাকালে আসা অভিযোগগুলোর সুরাহা না করেই ভোট গণনা চালিয়ে যাওয়ায় তিনি নির্বাচন কমিশনের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করছেন।
তিনি বলেন, 'নির্বাচন নিয়ে গতকাল অনেক ধরনের প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। আগেও আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য পেয়েছি। সেই তথ্যগুলোকে আমি সবসময় মনে করেছি একজন শিক্ষক হিসেবে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নির্বাচন কমিশনে আমার মতামত তুলে ধরে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করা।'
'আমি আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, আমাকে বিভিন্নভাবে অনেকেই প্রশংসা করলেও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যখন আমি কোনো মতামত দিয়েছি অথবা আমি কোনো বিষয় তুলে ধরেছি, তখন অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে তা বিভিন্নভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। দায়িত্ববান হিসেবে আর ডিটেইলস কিছু বলব না,' যোগ করেন তিনি।
এই অধ্যাপক বলেন, 'আজ বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সভা ডেকেছিলেন। আমরা দীর্ঘক্ষণ সভা করেছি। এক পর্যায়ে যখন আমি উঠে নামাজ পড়তে গিয়েছি, এসে দেখেছি ভোট গণনা শুরু হয়ে গেছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে বারবার অনুরোধ করেছি যে, অভিযোগগুলো সমস্যাগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করে আপাতত গণনা স্থগিত রাখা হোক, সুষ্ঠু স্বচ্ছ জাকসুর দিকে এগিয়ে যাই। কিন্তু আমি তাতে ব্যর্থ রয়েছি।'
'আমি অনেকগুলো অনিয়ম দেখেছি, মারাত্মক ত্রুটি দেখেছি, যে ত্রুটিগুলো পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আমার মতামত গ্রহণে অপরাগতা প্রকাশ করেছে। যখন দেখছি আমার মতামতের বিষয়ে সুরাহা না করেই ভোট গণনা শুরু হয়ে গেছে, তখন আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি,' বলেন তিনি।
অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, 'আমি চাপের মুখে পদত্যাগ করিনি, আমাকে বরং চাপ দেওয়া হয়েছে যেন আমি পদত্যাগ না করি। এমনকি বিভিন্নভাবে আমাকে চাপ দেওয়া হয়েছে যেন আমি মেনে নেই। আমি কখনো কাউকে ভয় করিনি, এখনো করব না। আমার কাছে যেটা সঠিক মনে হয়েছে, আমি সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি...আমি কোনো দায় নেবো না।'
Comments