জাকসু: হলে ছাত্রদলের ৩৪ প্রার্থীর জয়, দায়িত্ব নেবেন কিনা ‘আলোচনা চলছে’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন বর্জন করলেও ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা ২১টি হল সংসদের মোট ৩১৫ পদের মধ্যে ৩৪টিতে বিজয়ী হয়েছেন।
তবে বিজয়ী প্রার্থীরা দায়িত্ব নেবেন কি না—সে বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রতিটি হল সংসদে মোট ১৫টি করে পদ। ১১টি ছাত্র হলে আংশিক প্যানেল দিয়েছিল ছাত্রদল। কিন্তু ১০টি ছাত্রী হলে কোনো প্যানেল দেয়নি তারা।
গতকাল শনিবারের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল সর্বোচ্চ ১০টি পদে জয় পেয়েছে। এই হলে ভিপি, জিএস ও এজিএস পদ জিতেছে ছাত্রদল।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮টি পদ পেয়েছে শহীদ সালাম-বরকত হলে। এখানেও ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে জয় এসেছে সংগঠনটির।
এছাড়া, মাওলানা ভাসানী হল এবং ২১ নং ছাত্র হলে ৪টি করে পদ পেয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ২টি পদে ছাত্রদল জিতেছে, যার একটি এজিএস। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলে ২টি পদে জিতেছে। অন্যদিকে কামাল উদ্দিন হল ও শহীদ রফিক-জব্বার হলে ১টি করে পদ পেয়েছে তারা। এছাড়া ১০ নং (ছাত্র) হলে ২টি পদে জয় পেয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নির্বাচন বর্জন করার পরও আমাদের প্রার্থীরা বেশ কিছু পদে জয় পেয়েছেন। এখন আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে আলোচনা করব যে তারা পদগুলো গ্রহণ করবেন কিনা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় কমিটিই নেবে।'
জানতে চাইলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের এজিএস পদে জয়ী ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী সামির লাবীব ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের সংগঠন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে এবং প্রার্থীদের মতামত নিচ্ছে। সংগঠন যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি তা মেনে চলব।'
অন্যদিকে, ইসলামী ছাত্রশিবির বা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ কোনো প্যানেল দেয়নি হল সংসদ নির্বাচনে। ২১টি হলে মোট ৩১৫টি পদের মধ্যে ১৩১টিই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হয়েছে, আর ৬৮টি পদ শূন্য রয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ৩১৫ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৪৩ জন প্রার্থী।
Comments