পোষ্য কোটা থাকছে না প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে

স্টার ফাইল ফটো

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে এখন থেকে আর পোষ্য কোটা থাকছে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। 

তিনি বলেছেন, ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। সেইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক নিয়োগে প্রি-সার্ভিস প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

আজ রোববার খুলনা বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব চৌধুরী।

উপদেষ্টা বলেন, 'প্রাথমিক পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য দরকার সমাজের সবার সামগ্রিক অংশগ্রহণ।'

এ লক্ষ্য অর্জনে সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, 'সবার সহযোগিতায় শিশুদের সাক্ষর করে গড়ে তোলা সম্ভব।'

অধ্যাপক বিধান রঞ্জন বলেন, 'আমাদের দেশে প্রাথমিকের ভৌত অবকাঠামো সুন্দর। কিছু এলাকায় সমস্যা আছে, সেগুলো সুন্দর করা হচ্ছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় দৃষ্টিনন্দন স্কুল নির্মাণ করা হচ্ছে।'

'আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের সবগুলো প্রাথমিক স্কুলে "মিড ডে মিল" চালু করা হবে। এ সংক্রান্ত প্রকল্পটি একনেকে পাসের অপেক্ষায় আছে,' বলেন তিনি।

এ বিষয়ে তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে ১৫০টি উপজেলার সব স্কুলে এই 'মিড ডে মিল' চালু হবে। কক্সবাজার ও বান্দরবানসহ দেশের কিছু স্কুলে ইতোমধ্যে 'মিড ডে মিল' চালু আছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষ্যে উপবৃত্তি চালু করা হয়েছে। এতে বিশাল ব্যয় হচ্ছে, কিন্তু এটি যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, সেখানে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জিত হচ্ছে না। উপবৃত্তির জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নাম থাকে, কিন্তু তারা অন্য স্কুলে অধ্যয়ন করছে।

উপদেষ্টা পরে 'মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করণীয়' বিষয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন।

বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।

সভায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভাগীয় ও জেলা শিক্ষা অফিসার, পিটিআইর সুপারিনটেনডেন্ট, থানা শিক্ষা অফিসারসহ প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা সরাসরি ও অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
Largest Islamic bank in the making

Largest Islamic bank in the making

The five banks slated for consolidation are First Security Islami Bank, Union Bank, Global Islami Bank, Social Islami Bank and Exim Bank.

11h ago