ডাকসু নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ঢাবি ক্যাম্পাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে মোট ৮১০টি বুথে ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশে প্রতিটি গেটে আনসার, পুলিশ ও বিজিবির পাশাপাশি রোভার স্কাউট ও বিএনসিসিসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

ক্যাম্পাসে প্রবেশের জন্য পরিচয়পত্র দেখাতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারী ব্যতীত কেবলমাত্র এই নির্বাচনের সময় বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা অনুমোদিত পরিচয়পত্র দেখানোর মাধ্যমে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন।
ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবল উচ্ছ্বাস দেখা গেছে৷ শিক্ষার্থীদের অনেকে বলছেন, তারা ভোটার হওয়ার পর এই প্রথম একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ভোট দিতে এসেছেন৷
ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। এ ছাড়া, ১৮টি হল সংসদের ১ হাজার ৩৫টি পদে—প্রতি হলে ১৩টি পদ—প্রার্থী হয়েছেন ২৩৪ জন।

এবারের নির্বাচনে ব্যালট পেপার করা হয়েছে পাঁচ পৃষ্ঠার। তবে হল সংসদের ব্যালট এক পৃষ্ঠার। ভোটাররা ওএমআর শিটে ভোট দিচ্ছেন।

একজন ভোটারকে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪১টি ভোট দিতে হবে।
ডাকসু নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৮৭১ জন এবং নারী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।

পুরুষ ভোটার সবচেয়ে বেশি জগন্নাথ হলে ২ হাজার ২২২ জন এবং নারী ভোটার সবচেয়ে বেশি রোকেয়া হলে ৫ হাজার ৬৪১ জন।

পুরুষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে—কার্জন হল কেন্দ্র (ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল, ফজলুল হক মুসলিম হল), শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র (জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল), সিনেট ভবন কেন্দ্র (এ এফ রহমান হল, হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল, বিজয় একাত্তর হল), উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে (সূর্যসেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, কবি জসীমউদ্দীন হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল)।

নারী শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ হচ্ছে—টিএসসি কেন্দ্র (রোকেয়া হল), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্র (বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল), ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র (কবি সুফিয়া কামাল হল) ও বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে (শামসুন্নাহার হল)।
নির্বাচন কমিশনের দাবি, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটের নির্ধারিত সময়ে প্রত্যেক ভোটার ভোট দিতে গড়ে ১০ মিনিট সময় নিলেও নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ শেষ করা সম্ভব হবে।
Comments