মিরাজদের সামনে সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ

এক সময় টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেলত না বাংলাদেশ, ওয়ানডেতে ছিলো দুর্বার। এখন যেন পুরো উল্টো। টি-টোয়েন্টিতে বহুজাতিক আসরে ব্যর্থ হলেও দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে টানা জিতেই চলেছে দল। কিন্তু ওয়ানডে এলেই চলছে মুখ থুবড়ে মড়ার মিছিল। আফগানিস্তানকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পর ওয়ানডেতে নেমেই লড়াইবিহীন হারের অভিজ্ঞতা পেতে হয়েছে। আজ মেহেদী হাসান মিরাজদের সামনে সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।
শনিবার আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু দ্বিতীয় ওয়ানডে হারলে এই ফরম্যাটে টানা তৃতীয় সিরিজ হার নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি অংশ নেওয়াও পড়ে যাবে অনিশ্চয়তায়।
বুধবার প্রথম ম্যাচে টস ভাগ্য পক্ষে এলেও আর কোন কিছুই নিজেদের দিকে আনতে পারেনি দল। পাঁচ উইকেটে হেরেছিল টাইগাররা, যা তাদের ব্যাটিং বিভাগের অনেক দুর্বলতা প্রকাশ করেছে।
এই বাঁচা-মরার ম্যাচের আগে, বাংলাদেশ চাইবে ধীরগতির মিডল-ওভারের ব্যাটিং, আত্মবিশ্বাসহীন টপ অর্ডার এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে আফগান স্পিন জাদুকর রাশিদ খানের একটি উত্তর খুঁজে বের করতে।
অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২ ইনিংসে ৪৭১ রান করেছেন। এই সংখ্যা নিয়ে আপনি বাহবা দিতে গেলেই ভিন্ন আরেক পরিসংখ্যান আপনাকে আটকে দেবে।, প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তার স্ট্রাইক রেট যে স্রেফ ৬৭.৩৮, যা মিডল-ওভারে রান তোলার গতি কমিয়ে দেয়ার জন্য দায়ী।
প্রথম ওয়ানডেতেও তার এই মন্থর স্কোরিং রেট একটি সমস্যা হিসাবে দেখা দেয়, তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ১০১ রানের জুটি পেলেও তারা খুইয়ে ফেলেন ১৪১ বল। ৪৯তম ওভারে অলআউট হওয়া সফরকারী দল ডট বলই খেলে ১৬৯টি, যা ২৮ ওভারের বেশি।
২২১ রানের পুঁজি নিয়ে বোলাররা লড়াই জমাতে পারেননি। বাংলাদেশকে অল্প রানে আটকাতে ফের ভূমিকা রাখেন রশিদ। আফগান লেগ স্পিনারের গুগলি যেন পড়তেই পারছে না দল। টি-টোয়েন্টিতেও তিনি আতঙ্ক ছড়িয়েছিলেন, ওয়ানডেতে যেন আরও ঝেঁকে বসেছেন।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রাশিদ ১৮ রানে ৪ উইকেট, দ্বিতীয়টিতে ২৯ রানে ২ উইকেট নেন এবং তৃতীয়টিতে ১৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। বিশেষ করে জাকের আলি তাকে সামলাতে বেশ কঠিন সময় পার করেছেন, টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুবার তার কাছে লেগ-বিফোর ট্র্যাপে পড়েছেন।
এখন দেখার বিষয়, টাইগাররা মিডল-অর্ডারে খেলোয়াড় পরিবর্তন করে কিনা—তাদের হাতে বামহাতি শামীম হোসেনকে খেলানোর সুযোগ রয়েছে—রশিদকে সামলাতে ব্যাটিং অর্ডারে বদল আনার কথা ভাবতে পারে দল।
টপ-অর্ডারও ক্লিক করছে না। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম তার শেষ ছয় ইনিংসের মধ্যে পাঁচটিতেই শুরু পেয়েছেন, তবুও তার নামের পাশে মাত্র একটি অর্ধ-শতক রয়েছে।
গত ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া সাইফ হাসানকে দ্রুত এই ফরম্যাটে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ। সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আড়ষ্ট মানসিকতা থেকে বেরুতে না পারলে দলের ভোগান্তি কমবে না।
Comments