জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু, ফল জানা যাবে কাল সকালে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে ভোট গণনা শুরু হয়।
জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য মাফরুহী সাত্তার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সব কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স সিনেট ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাতে হাতে ভোট গণনা করা হচ্ছে এবং এলইডি স্ক্রিনে তা দেখানো হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের সদস্য মাফরুহী সাত্তার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মীর মশাররফ হোসেন হলের ব্যালট দিয়ে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। গণনা শেষ করতে সকাল হয়ে যেতে পারে।'
ভোটগ্রহণের সময়সীমা বিকেল ৫টায় শেষ হওয়ার কথা হলেও, কাজী নজরুল ইসলাম হলে ভোটগ্রহণ চলেছে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
মোট নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৮৯৭ জন। তাদের মধ্যে ৬ হাজার ১১৫ পুরুষ ও ৫ হাজার ৭২৮ নারী শিক্ষার্থী।
নির্বাচনের কমিশনের অনানুষ্ঠানিক হিসাব অনুযায়ী, আল বেরুনী হলের মোট ভোটার ২১১ ও ভোট পড়েছে ১২৫, যার শতকরা হার ৫৯.২৪ শতাংশ। কামাল উদ্দিন হলের ভোটার ৩৪১, ভোট পড়েছে ২১৬, শতকরা হার ৬৩.৩৪ শতাংশ। মীর মশাররফ হোসেন হলের ভোটার ৪৮৭, ভোট পড়েছে ৩১০, শতকরা হার ৬৩.৬৫ শতাংশ। নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের ভোটার ২৮৭, ভোট পড়েছে ১৩৮, শতকরা হার ৪৮.০৮ শতাংশ। শহীদ সালাম-বরকত হলের ভোটার ৩০৩, ভোট পড়েছে ২২৪, শতকরা হার ৭৩.৯৩ শতাংশ। মাওলানা ভাসানী হলের ভোটার ৫২১, ভোট পড়েছে ৩৮৪, শতকরা হার ৭৩.৭০ শতাংশ। জাহানারা ইমাম হলের ভোটার ৪০২, ভোট পড়েছে ২৪৭, শতকরা হার ৬১.৪৪ শতাংশ।
প্রীতিলতা হলের ভোটার ৪০২, ভোট পড়েছে ২৫০, শতকরা হার ৬২.১৯ শতাংশ। বেগম খালেদা জিয়া হলের ভোটার ৪১৭, ভোট পড়েছে ২৪৯, শতকরা হার ৫৯.৭১ শতাংশ। ১০ নং ছাত্র হলের ভোটার ৫৪১, ভোট পড়েছে ৩৮১, শতকরা হার ৭০.৪৩ শতাংশ। শহীদ রফিক-জব্বার হলের ভোটার ৬৫৬, ভোট পড়েছে ৪৭০, শতকরা হার ৭১.৬৫ শতাংশ। বেগম সুফিয়া কামাল হলের ভোটার ৪৬০, ভোট পড়েছে ২৪৬, শতকরা হার ৫৩.৪৮ শতাংশ। ১৩ নং ছাত্রী হলের ভোটার ৫৩২, ভোট পড়েছে ২৯২, শতকরা হার ৫৪.৮৯ শতাংশ। ১৫ নং ছাত্রী হলের ভোটার ৫৭৭, ভোট পড়েছে ৩৫০, শতকরা হার ৬০.৬৬ শতাংশ।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ভোটার ৩৫৮, ভোট পড়েছে ২৬১, শতকরা হার ৭২.৯১ শতাংশ। রোকেয়া হলের ভোটার ৯৫৭, ভোট পড়েছে ৬৮০, শতকরা হার ৭১.০৬ শতাংশ। ফজিলাতুন্নেছা হলের ভোটার ৮০৯, ভোট পড়েছে ৪৮৯, শতকরা হার ৬০.৪৪ শতাংশ। বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের ভোটার ৯৮৩, ভোট পড়েছে ৫৯৫, শতকরা হার ৬০.৫৩ শতাংশ। ২১ নং ছাত্র হলের ভোটার ৭৪৬, ভোট পড়েছে ৫৬০, শতকরা হার ৭৫.০৭ শতাংশ। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ভোটার ৯৯৩, ভোট পড়েছে ৭১৫, শতকরা হার ৭১.৯৯ শতাংশ। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের ভোটার ৯১৪, ভোট পড়েছে ৭৫২, শতকরা হার ৮২.২৯ শতাংশ।
সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৮২.২৯ শতাংশ ও সর্বনিম্ন নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ৪৮.০৮ শতাংশ।
সব কেন্দ্র মিলিয়ে প্রায় ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ভোটগ্রহণের শেষ দিকে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল। রাতে ছাত্রদলের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিক্ষোভ মিছিল করে এবং নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানায়।
এদিকে, সন্ধ্যার দিকে সম্প্রীতির ঐক্য, সংশপ্তক প্যানেলসহ ৪ প্যানেল ভোট বর্জন করে। তারাও নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানায়।
Comments